Summer Tips

তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে রোজের ডায়েটে ৫ খাবার রাখছেন তো?

খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু জিনিস রাখতে পারলে, শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। শরীর ঠান্ডা হবে, আর দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে। তার সঙ্গে হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৩:০৮
Share:

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচাবে কোন ৫টি সুপারফুড? —ফাইল চিত্র।

প্রচণ্ড গরমে যেন হাঁসফাঁস অবস্থা! যতই জল খান না কেন, মুখের ভিতরটাও বার বার কী রকম শুকিয়ে যাচ্ছে! অফিসে কাজ করতে গিয়েও ক্রমাগত ঝিমুনি আসছে। বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময়ে আবার অল্পঅল্প মাথাও ঘুরছে। কাঠফাটা গরমে এই রকম অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই হচ্ছে। এই লক্ষণগুলি অবহেলা করার ফল কিন্তু ভুগতে হতেই পারে আপনাকে।

Advertisement

নিয়মিত এ রকম চলতে থাকলে সংজ্ঞা হারানো, বুক ধড়ফড় করা, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা এমনকি হিট স্ট্রোকের মতো বিপত্তিতেও পড়তে হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই সব সমস্যার সূত্রপাত হয় শরীরে জলের ঘাটতির কারণে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের মতো নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত যে জল বেরিয়ে যায়, তা পূরণ হয় খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে।

যখন শরীরে জলের জোগান কম পড়ে, তখনই শুরু হয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। তা ছাড়াও গরমে ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়, তা থেকেও হতে পারে বিপত্তি। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু জিনিস রাখতে পারলে, শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে, শরীর ঠান্ডা থাকবে আর দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকবে। কী কী পাতে পড়লে গরমে শরীর সুস্থ থাকবে, হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমবে, রইল হদিস।

Advertisement

১. ডাবের জল: গরম থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত ডাবের জল খেতে পারেন। এতে পেট ঠান্ডা থাকে। সঙ্গে থাকে বেশ কিছু পুষ্টিগুণও। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমের দিনে ডাবের জল খেলে তাই শরীর চাঙ্গা থাকে।

২. কাঁচা আম: এই ফল শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বার করে দিতে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের দিনে এই ফল খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। তাই গরমের ডায়েটে পাকা আমের সঙ্গে কাঁচা আম রাখাও জরুরি। তা ছাড়া কাঁচা আম পোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। রান্নাতেও কাঁচা আম ব্যবহার করতে পারেন।

লাউ শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।

৩. লাউ: লাউও শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বেশ উপকারী। তবে রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। দিনের যে কোনও সময় লাউয়ের রসে সামান্য নুন আর লেবুর রস দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এই পানীয় শরীরকে বেশ ঠান্ডা রাখে, শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে।

৪. টক দই: গরমকালে খাওয়ার পাতে টক দই অবশ্যই রাখতে হবে। ভাত দিয়ে হোক বা ফল দিয়ে। কিংবা শুধুই খেতে পারেন। দইয়ের ঘোল কিংবা লস্যি বানিয়ে খেলেও শরীরে জলের প্রবেশ ঘটবে। ফলে হজমও ভাল হবে, আর শরীরে জলের চাহিদাও মিটবে।

৫. অঙ্কুরিত মুগ ডাল: অফিসে কাজের মাঝে খিদে পেলেই আমরা ভাজাভুজি খেয়ে ফেলি। এর ফলে শরীরে জলের ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে বিকেলে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগের ডালের স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শরীরে তাপমাত্রা বাড়ে না। পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম আর পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement