Eye Health and Good Sleep

প্রায় রোজই ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হয়? শরীর ছাড়াও এই অভ্যাস আর কী কী ভাবে ক্ষতি করছে জানেন?

ভাল ঘুম, যথেষ্ট ঘুম না হলে স্বাস্থ্যের উপর, চোখের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। যদি রোজই ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তা হলে কিন্তু নীরবে আপনার চোখের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৪
Share:

ঘুম ভাল না হলে কী কী ক্ষতি হয়? ছবি: সংগৃহীত।

ঘুম কেবল শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার পন্থা নয়। চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অনেকই ভাবেন, সারা দিন সতেজ থাকার জন্য, কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার কেবল। কিন্তু ভাল এবং যথেষ্ট ঘুম না হলে স্বাস্থ্যের উপর, চোখের উপর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। যদি রোজই ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তা হলে কিন্তু নীরবে আপনার চোখের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এতে নানাবিধ সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

Advertisement

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে চোখে কী কী সমস্যা হতে পারে?

১. শুষ্কতা এবং জ্বালা, অস্বস্তি

Advertisement

একটানা যদি পর্যাপ্ত ঘুম না পায় চোখ, তা হলে অশ্রু বেরোয় না। আর এর ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকি চোখ আর পরিষ্কারও থাকে না, কারণ এই জল চোখকে পরিষ্কার রাখার কাজেও নিযুক্ত। ফলে শুষ্কতা থেকে লালচে ভাব, চুলকানি, জ্বালা হতে পারে। সারা ক্ষণ মনে হবে, চোখে কিছু একটা আটকে আছে। পরবর্তী কালে চোখের গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।

২. চোখের পাতা কাঁপা

মাঝে মাঝে চোখের পাতা কেঁপে ওঠে? এর সঙ্গে কুসংস্কারের কোনও সম্পর্ক নেই, রয়েছে স্বাস্থ্যের। এই রোগটিকে বলে 'মায়োকাইমিয়া'। এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি চোখের পাতা কাঁপা। আপনার চোখ যদি ক্লান্ত থাকে, তা হলে এটি প্রায়শই ঘটতে পারে। তা ছাড়াও মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাবের কারণে এমন হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখে ব্যথা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

৩. চোখের তলায় কালি, ফোলা চোখ

ঘুম কম হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চোখের তলায় কালি পড়া এবং ফুলে যাওয়া। ভাল ঘুম না হলেই এই সমস্যা দেখা দেবে। চোখের নীচের রক্তনালিগুলির মধ্যে প্রতিক্রিয়া ঘটে, তাই জায়গাটি কালো দেখায়। অনিদ্রায় সাধারণত চোখ ফুলে যায়। আসলে চোখে তরল জমা হয় বলে চোখ এবং চোখের তলা ফোলা দেখায়।

৪. ঝাপসা দৃষ্টি, মনোযোগের অভাব

দীর্ঘ ক্ষণ কাজের পর চোখের বিশ্রামের প্রয়োজন। চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তা না হলেই আপনার চোখের পক্ষে যে কোনও কিছুতেই মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে বা পড়ার চেষ্টা করলেও আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।

৫. সংক্রমণের ঝুঁকি

চোখের জলে থাকে নুন, লিপিড এবং প্রোটিন। চোখকে ব্যাক্টেরিয়া এবং ধুলোর থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এই তরল। যদি আপনি পর্যাপ্ত ঘুম না পান, তা হলে চোখেও পর্যাপ্ত পরিমাণে অশ্রু তৈরি হয় না। অর্থাৎ আপনার চোখ জীবাণুর সংস্পর্শে বেশি আসে। এটি কনজাংটিভাইটিসের মতো চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

৬. চাপ এবং আলোর সহ্য করতে না পারা

ক্লান্ত চোখ বেশি আলো সহ্য করতে পারে না। অত্যধিক চাপ বোধ হতে পারে। ঘুম ভাল না হলে তীব্র আলো জ্বালানো ঘরে বসে থাকা বা ফোনের স্ক্রিন বা কম্পিউটারের মনিটর দেখা কঠিন হয়ে যায়। এর ফলে মাথা ব্যথা, চোখে ব্যথা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement