Weight Loss Tips

ডায়েট করেও ফল পাচ্ছেন না? ভুঁড়ি কমাতে হলে সবচেয়ে আগে বিপাকহারের উপর নজর দিন

ডায়েট করার সময় আপনার অজান্তেই কিছু ভুল প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। কোন কোন অভ্যাসে বিপাকহার কমে যেতে পারে, রইল হদিস।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১০:১২
Share:

ডায়েটের ফলে বিপাকহার কমে যাচ্ছে না তো? ছবি: শাটারস্টক।

ফিট থাকতে বিপাকহারের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস, নিয়ম মেনে জীবনযাপন— বিপাকহার বাড়িয়ে দিতে পারে। বিপাকহার ভাল হলে হজমক্ষমতা বাড়ে, আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোগা হওয়ার জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা, খাওয়ার রুচি অনুযায়ী খাদ্যতালিকা বানিয়ে নেন। ডায়েট শুরু করে দেন সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিয়োর উপর নির্ভর করে। তবে সেই ডায়েট করে মনের মতো ফলাফল আসে না বলে অনেকেই নিরাশ হন। আসলে ডায়েট করার সময় আপনার অজান্তেই কিছু ভুল প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। কোন কোন অভ্যাসে বিপাকহার কমে যেতে পারে, রইল হদিস।

Advertisement

১) কম খাওয়া: খালি পেটে রোগা হওয়া সম্ভব নয়। খাবার খাওয়ায় লাগাম টানলেই ওজন কমানো সহজ হবে, এই ধারণা ভুল। রোগা হওয়ার আশায় অনেকেই খালি পেটে থাকেন। এতে আদৌ কোনও উপকার হয় না। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিমাণে কম খেলেই যে ওজন কমবে, এমন ধারণার কোনও ভিত্তিই নেই। বরং দিনের সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাবার না খেলে তার প্রভাব পড়বে বিপাকহারের উপর। ওজন তো কমবেই না, উল্টে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা।

২) প্রোটিন কম খাওয়া: শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের মতো যৌগ প্রতি দিনই সঠিক মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিলেই বোধ হয় ওজন ঝরানো সহজ হবে। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। এর ফলে বিপাকহারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে ‘লিন প্রোটিন’ খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।

Advertisement

৩) শরীরচর্চায় অনীহা: বিপাকহারের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ হল নিয়মিত শরীরচর্চা না করা। কাজের চাপে অনেকেই শরীরচর্চার সময় পান না। তার উপর অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজের ফলে হাঁটাচলার অবসরও কম মেলে। এই অভ্যাসও কিন্তু বিপাকহার কমিয়ে দেয়।

৪) ঘুম কম হওয়া: ঘুমের সঙ্গেও বিপাকহারের সম্পর্ক রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও বিপাকহারের উপর প্রভাব পড়ে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো ভীষণ জরুরি। রাত জেগ‌ে ওয়েব সিরিজ়, সিনেমা না দেখে, ইনস্টাগ্রামে স্ক্রোল না করে সঠিক সময় ঘুমোনোর অভ্যাস করতে হবে।

৫) কার্বোহাইড্রেট না খাওয়া: ওজন ঝরাতে গিয়ে খাওয়ার তালিকা থেকে হঠাৎই একেবারে ভাত-রুটি বাদ দিয়ে দিয়েছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন? দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসে বদল আসার কারণে বিপাকহার কমে যায়। ফলে হজম প্রক্রিয়ার উপরেও প্রভাব পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement