হার্দিক পাণ্ড্যর ডায়েট। ছবি: সংগৃহীত।
সুঠাম, সুগঠিত, পেশিবহুল চেহারা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য। তাঁর ফিটনেসে মুগ্ধ অনুরাগীরা। আর তাই তাঁর যাপন নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। সেই কৌতূহলের অবসান ঘটালেন হার্দিক। সমাজমাধ্যমে নিজেই ভিডিয়ো করে দিনলিপি জানালেন তিনি। ভিডিয়োর শুরুতেই হার্দিক বললেন, ‘‘সকলেই জানতে চান, আমি সারা দিনে কী কী খাই, তারই উত্তর দিচ্ছি।’’
সকাল: ঘুম থেকে উঠেই আগে ৫০০ মিলিলিটার জল পান করেন হার্দিক। নিজেকে হাইড্রেট করার জন্য কোনও কেতাদুরস্ত পানীয় নয়, কেবল জল খেয়েই দিন শুরু করেন তিনি। তার পরই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে হয় তাঁকে। ঘাম ঝরানোর পর প্রাতরাশের পালা। কিন্তু গোটা খাবার না খেয়ে স্মুদি পান করার পক্ষপাতী তিনি। হার্দিকের স্মুদিতে থাকে কলা, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখীর বীজ, ওট্স, আমন্ড বাদাম এবং আমন্ডের দুধ। সব মিলিয়ে পুষ্টির পরিমাণ কী কী হয়, তা-ও হিসাব করে লিখে দিলেন হার্দিক। ৬৫০ ক্যালোরি আর ৩০ গ্রাম প্রোটিন ভরা জলখাবার খান তিনি।
ক্রিকেট তারকার শরীরচর্চা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দুপুর: মধ্যাহ্নভোজনের আধ ঘণ্টা আগে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাপ্লিমেন্ট খেতে হয় ৩১ বছরের ক্রিকেটার। নিজেই জানালেন, এর ফলে তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় এবং যখন-তখন খিদে পায় না। হার্দিকের কথায়, ‘‘অ্যাথলিট হিসাবে আমায় সব সময়ে ক্যালোরির হিসেব মাথায় রাখতে হয়। এটা আমায় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে আটকায়।’’ দুপুরে খাওয়ার পাতে সাদামাঠা ভারতীয় খাবার থাকে। সাধারণত জিরা রাইস, পালকের তরকারি এবং ডাল। হিসাব দাঁড়ায় ৫৫০ ক্যালোরি এবং ২৪ গ্রাম প্রোটিন ।
সন্ধ্যা: বিকেলে ক্রিকেট অনুশীলনের পর সন্ধ্যায় ৬০০ ক্যালোরি এবং ২৮ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাক্স থাকে হার্দিকের রুটিনে। ওটমিলের মধ্যে মেশানো কয়েকটি ড্রাই ফ্রুট।
রাত: নৈশভোজের সময়ে আবারও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাপ্লিমেন্ট খান ক্রিকেট তারকা। রাতে সাধারণত টোফু, ব্রাউন রাইস দিয়ে বানানো খাবার থাকে পাতে। নৈশভোজে ২৩৩০ ক্যালোরি এবং ১০৬ গ্রাম প্রোটিন।
তবে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি রাতে বই পড়া, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো অভ্যাসকেও জায়গা দেন হার্দিক।