পেট পরিষ্কার হয় না কিছুতেই? কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কী খাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা জেরবার তাঁরা জানেন, বিষয়টি কতটা কষ্টদায়ক। কারও আবার বছরের অন্য সময়ে পেট পরিষ্কারের সমস্যা না হলেও, ঠান্ডা পড়লেই অসুবিধা শুরু হয়। অথচ শীতের দিনেই খাওয়াদাওয়া বেশি হয়। অনুষ্ঠান বাড়ি, পার্টি, পিকনিক চলতেই থাকে। এমন সময় পেট খালি না হলে, গ্যাস-অম্বলে বাড়তি ভোগান্তি হবেই। হার্ভার্ডে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি বলছেন এমন কিছু খাবারের কথা যা খেলে এমন সমস্যার সমাধান হবে খুব সহজে। ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক সমাজমাধ্যমে নানা রকম পরামর্শ দেন। তিনি এ ব্যাপারে জানাচ্ছেন কী কী খাওয়া যেতে পারে।
পাকা পেঁপে: বাড়ির বড়রা বলেন পাকা পেঁপে খাওয়া ভাল। চিকিৎসক বলছেন, অভিভাবকদের সেই কথাকেই সমর্থন করছে গবেষণাও। পেঁপেতে থাকেো প্যাপাইন নামক উৎসেচক যা পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করতে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে সহজেই পেট পরিষ্কার হয়ে যায়।তা ছাড়া পেঁপেতে রয়েছে জল এবং ফাইবার, যা মল বার করে দিতে সহায়ক।
তিসি বীজ: তিসি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখলে জেলের মতো পদার্থে পরিণত হয়। পরিপাকতন্ত্রে এই জেলের মতো পদার্থটি একটি আস্তরণ তৈরি করে, ফলে মল বেরিয়ে যেতে পারে সহজেই। চিকিৎসক বলছেন, পাতলা ঘোলে বা ডালের জলে তিসির বীজ ভিজিয়ে খেলেও উপকার হবে।
চিয়া বীজ: মলত্যাগের সময় যাঁদের যন্ত্রণা হয়, তাঁদের জন্য চিয়াবীজ ভাল। জলে ভিজিয়ে রাখলেই এটি পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে ফাইবারও যথেষ্ট। ফলে সকালে খালিপেটে চিয়া ভেজানো জল খেলে পেট পরিষ্কারে হয়ে যাবে। চাইলে লেবুর জলে বা ডাবের জলেও চিয়াবীজ ভেজানো যায়।
ডাল: নিয়মিত ডাল খাওয়ার অভ্যাসও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মুসুর, মুগ, অড়হর যে কোনও ডালে ফাইবার, প্রোটিন দুই-ই মেলে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে প্রোটিন, ফাইবার জরুরি। পেট পরিষ্কারেও এটি সাহায্য করে।
রাঙা আলু: এই আলু খনিজ, ভিটামিনে ভরপুর। পটাশিয়াম, জল এবং ফাইবার রয়েছে এতে যা মল নরম করতে সাহায্য করে। রাঙা আলু সেদ্ধ করে খেলেই হবে। হালকা পুড়িয়ে নুন, গোলমরিচ ছড়িয়েও এটি খাওয়া যায়।