কিমচি কেন খাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
কোরিয়ার জনপ্রিয় একটি খাবার হল কিমচি। সেখানকার সে কোনও রেস্তরাঁয় গেলে এই খাবারটি দেওয়া হয় একেবারে বিনামূল্যে। বিট, গাজর, বাঁধাকপি, বেগনি বাঁধাকপির মতো হরেক ধরনের সব্জি মজিয়ে আচারের মতো করেই তৈরি করতে হয় বিশেষ এই খাবারটি। টক, মিষ্টি এবং ঝালের মিশ্রণে তৈরি এই আচার ভাত, স্যান্ডউইচ, নুড্লস— যে কোনও কিছুর সঙ্গেই দিব্যি খেয়ে ফেলতে পারেন কোরিয়ানরা। শহরের কোরিয়ান রেস্তরাঁগুলিতে গেলেও কিমচি স্যালাড চোখে পড়বে। বাড়িতে খব সহজেই এই স্যালাড বানিয়ে নেওয়া যায়। ভারতীয়দের মধ্যে যেমন রোজের খাবারের সঙ্গে চাটনি বা আচার খাওয়ার চল রয়েছে, কোরিয়ানরা তেমনই কিমচি খান রোজের খাবারের সঙ্গে। শুধুই কি স্বাদের জন্য, না কি এই খাবারের স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে?
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: গেঁজিয়ে বা মজিয়ে (ফার্মেন্টেশন) বানানো হয় বলে এতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়া শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মরসুম বদলের সময় ঘন ঘন জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বাঁচতে কিমচির উপর নির্ভর করা যায়। ডায়েটে এই স্যালাড নিয়মিত রাখলে শরীরে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কিমচি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস: প্রোবায়োটিক হল পেটের ভিতরে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে। শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক। অনেকেই ক্ষুধামান্দ্যের সমস্যায় ভোগেন। প্রোবায়োটিকের জোগান ঠিক থাকলে খিদে বাড়ে। দই ছাড়া অন্য কোনও খাবারে বেশি মাত্রায় প্রোবায়োটিক পাওয়া যায় না, তবে কিমচি কিন্তু প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। কোরিয়ার মেয়েদের চেহারা বেশ ছিপছিপেই হয়। ওঁরা নিয়মিত কিমচি খেয়ে থাকেন। এই স্যালাড খেলে পেট অল্পতেই ভরে যায়। তাই ক্যালোরি কম যায় শরীরে। ওজনও ঝরে।
ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি: এই স্যালাডে থাকা গাজর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। নিয়মিত এই স্যালাড খেলে ত্বকও জেল্লাদার হয়ে ওঠে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখার জন্যও কোরিয়ানরা এই খাবারের উপর ভরসা রাখেন।