প্রতীকী চিত্র।
পুজো বা কোনও আচার-অনুষ্ঠানের দিনে উপোস করা হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনেও উপোস করলে একাধিক উপকার রয়েছে। এক দিন বা টানা ৩ দিন উপোস করলে শরীরে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু তার আগে পদ্ধতি শিখে নেওয়া প্রয়োজন।
কী ভাবে উপোস
তিন দিন উপোস করার পরিকল্পনা হঠাৎ করে করা উচিত নয়। পুষ্টিুবিদদের মতে, তার আগের কয়েক দিন ধীরে ধীরে দৈনিক খাবারের পরিমাণ কম করা উচিত। তার ফলে শরীরের মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। উপোস চলাকালীন শুধু জল বা নুন-চিনির শরবত খাওয়া যেতে পারে। আর এই ধরনের উপোস তখনই করা উচিত, যখন দেহে ক্লান্তি কম থাকবে। এই সময়ে শরীরচর্চাও করা যাবে না। আবার ৩ দিনের উপোস ভঙ্গ করার সময়েও অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া শুরু করতে হবে। তার ফলেও ধীরে ধীরে শরীর আবার সাধারণ রুটিনে ফিরে আসবে।
৭২ ঘণ্টায় কী কী হয়
উপোস করার সময় দেহ তার প্রয়োজনীয় শক্তি গ্লাইকোজেন থেকে সংগ্রহ করে। তার পর প্রয়োজনে দেহের ফ্যাট থেকে শক্তি সংগৃহীত হয়। ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা উপোসের পর দেহে কিটোন তৈরি হতে শুরু করে। তার থেকে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেহে কিটোন তৈরির মাত্রা সর্বোচ্চ পরিস্থিতিতে পৌঁছয়। তার ফলে দেহে ফ্যাট কমার পরিস্থিতিও সব থেকে বেশি হয়।
উপকারিতা
১) উপোসের ফলে দেহ আরও বেশি ইনসুলিনের প্রতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ করে আসে।
২) উপোস করলে দীর্ঘকালীন প্রদাহের হার কমতে থাকে। তার ফলে হার্টের অসুখ, আর্থ্রাইটিস বা ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
৩) উপোস করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কারণ, উপোসের ফলে দেহের উপর চাপ কমতে শুরু করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়।
৪) বিভিন্ন গ্রোথ হরমোন দেহের মেটাবলিজ়ম, পেশির শক্তি এবং মেদের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। উপোসের সময় দেহে স্বাভাবিকের তুলনায় গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ প্রায় ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
৫) নিয়মিত উপোসের অভ্যাস করলে কোষের আয়ু বৃদ্ধি পায়। নতুন কোষ দ্রুত তৈরি হয়। ফলে সার্বিক আয়ুও বাড়ে।