প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।
বর্ষার মরসুমে ভ্রমণে প্রকৃতিকে নতুন ভাবে চেনা সম্ভব। বছরের এই সময়ে অনেকেই ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও রয়েছেন। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার আগে চলাফেরার ক্ষেত্রে মায়েদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বর্ষার পিছল রাস্তা বা পরিবেশে জীবাণুর আধিক্য হবু মায়েদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাত্রার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে ভ্রমণের সময় কোনও সমস্যা হবে না।
১) চিকিৎসকের পরামর্শ: অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে ভ্রমণ নিরাপদ হতে পারে, চিকিৎসকই তা বলতে পারবেন। ভ্রমণের সময়ে যাবতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ যেন সঙ্গে থাকে, তা খেয়াল রাখা উচিত।
২) যানবাহন: এই সময়ে পর্যটন কেন্দ্রে গণপরিবহণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত গাড়ি বুক করে ঘুরতে পারলে সুবিধা হবে। অহেতুক ভিড় এড়িয়ে গেলে সুরক্ষিত থাকা যায়। বিমানে সফর করলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে কোম্পানির নীতি এবং পরিষেবা বিষয়ে জেনে রাখা ভাল। আবার ট্রেনে সফর করলে লোয়ার বার্থ বুক করলে সুবিধা হবে।
৩) আবহাওয়া: অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সঙ্গে থাকলে আবহাওয়া দেখে নেওয়া ভাল। ঝড়বৃষ্টি বেশি হলে, তাঁদের নিয়ে বাইরে না বেরোনোই ভাল।
৪) আরাম এবং সুরক্ষা: সঙ্গে আরামদায়ক পোশাক রাখা উচিত। চলাফেরার ক্ষেত্রে জুতোর শুকতলা যেন শক্ত হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। ফলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনা এড়ানো যাবে। ঘুরতে গিয়ে অনেকেরই বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে কোনও অ্যাডভেঞ্চার স্পোটর্স করা উচিত নয়।
৫) পরিচ্ছন্নতা: অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে ভ্রমণের সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। বর্ষার সময়ে মূত্রনালির সংক্রমণ, ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই স্যানিটাইজ়ার, টিস্যু পেপার, ডিসইনফেক্টর স্প্রে সঙ্গে রাখা উচিত। রাস্তার শৌচালয় যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। জল কিনে খাওয়াই ভাল।
৬) ডায়েট: অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে সুষম আহার করা উচিত। তেল-মশলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।
৭) বিশ্রাম: অন্য সময়ে ভ্রমণের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘুরতে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মাতৃত্বকালীন সময়ে সহজেই ক্লান্তি আসে। একই সঙ্গে পিঠ ও কোমরের ব্যথা বাড়তে পারে। তাই ভ্রমণের সময় রাস্তায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা অন্তর বিশ্রাম নেওয়া উচিত।