Eye Pain Remedies

মাঝেমধ্যেই চোখে ব্যথা, জল পড়ে অনবরত, কী ভাবে যন্ত্রণা কমবে?

অফিসে পৌঁছে কিছু ক্ষণ কাজ করতে না করতেই মাথা যন্ত্রণা, চোখে অস্বস্তি, চোখ জ্বালা শুরু। আই ড্রপ দিয়ে সাময়িক আরাম মিললেও চোখের এই কষ্ট থেকে স্থায়ী মুক্তির উপায় আছে কি?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ১৮:২০
Share:

চোখে ব্যথা, ফোলা ভাব কমবে কী উপায়ে? ছবি: ফ্রিপিক।

প্রয়োজনে হোক বা অভ্যাসে, বেশির ভাগ মানুষকেই এখন দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময়েই মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রেখে কাটাতে হয়। কারণ পড়াশোনা, বিনোদন, কেনাকাটা, অফিসের কাজ, সবই এখন অনলাইনে। ফলে কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে বেশি ক্ষণ তাকিয়ে থাকছেন সকলে। আর তার ফলে বাড়ছে চোখের সমস্যা। একটানা অনেক ক্ষণ চোখের পেশির উপর চাপ পড়লে চোখ থেকে জল পড়া, চোখে ব্যথা হওয়া, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণার মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

অনেকেরই চোখের নীচে মাঝেমাঝে ব্যথা হয়। সেই ব্যথা কখনও কখনও কপালের রগ ছাড়িয়ে মাথাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু কারণ রয়েছে এই ধরনের ব্যথার নেপথ্যে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘ক্লাস্টার হেডেক’ বলা হয়। এই ব্যথার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হয় সকাল অথবা সন্ধে, প্রতি দিন একই সময়ে এই ব্যথা শুরু হয়। এই ধরনের ব্যথার সঙ্গে চোখ থেকে জল পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী?

গরম ও ঠান্ডা সেঁক

Advertisement

চোখে দীর্ঘ দিন ধরে ফোলা ভাব থাকলে অথবা ক্লান্তি, কম ঘুমের জন্য চোখ ফুলে গেলে তখন গরম সেঁকই ভাল। ধরুন, চোখের নীচে ফোলা মাংসপিণ্ড রয়েছে, খুব ব্যথা, তখন গরম সেঁক দিন। তাপ লাগলে সেখানকার রক্তনালির প্রসারণ হবে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। যদি রক্ত জমাট বেঁধে থাকে, তা হলে তা ছেড়ে যাবে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হলেই ফোলা ভাব কমে যাবে। ব্যথাও সেরে যাবে।

অনেক সময়ে চোখ চুলকালে বা চোখে আঘাত লাগলে প্রচণ্ড প্রদাহ হয়। তখন চোখ ফুলে ওঠে। তেমন হলেও গরম সেঁক খুব কাজে দেবে।

জ্বর, সংক্রমণজনিত কারণে চোখ ফুলে ওঠা, অ্যালার্জি হলে তখন ঠান্ডা সেঁক কার্যকরী। ধরুন, অ্যালার্জির কারণে চোখ লাল হয়ে গিয়েছে, জল পড়ছে তখন ঠান্ডা সেঁক দিন। পরিষ্কার সুতির কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো ভাল করে মুড়ে নিয়ে ফোলা জায়গায় দিতে হবে। ঠান্ডা সেঁক দিলে প্রথমে সেই জায়গার রক্তনালিগুলি সঙ্কুচিত হবে, তার পর ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল শুরু হবে। এতে ফোলা ভাব খুব দ্রুত মিলিয়ে যাবে। চোখের যন্ত্রণা, চুলকানিও কমে যাবে।

পামিং পদ্ধতি

শুরুতে দুই হাতের তালু ভাল করে ঘষতে থাকুন যত ক্ষণ না গরম হয়ে উঠছে। এর পর আলতো করে দু’চোখের পাতার উপর দুই হাতের তালু রাখুন। আরাম পাবেন। অনেক ক্ষণ কম্পিউটার বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমধ্যেই পামিং করা অভ্যাস করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement