Kartik Aaryan Diet Tips

পেশিবহুল শরীর শুধু নিরামিষ খেয়েই! প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কার্তিক আরিয়ানের ডায়েটে কী থাকে?

নিরামিষ খেয়েও সুস্থ-সবল পেশির অধিকারী হওয়া যায়। কার্তিক আরিয়ানের সুঠাম শরীরের নেপথ্যে কেমন ডায়েট রয়েছে, খুলে বললেন অভিনেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৭
Share:

মেদহীন, সবল পেশি শুধু উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেয়েই! কার্তিক আরিয়ানের ডায়েটে কী কী থাকে? ছবি: সংগৃহীত।

‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’-য় তাঁর হাসিতেই ঝড় উঠেছিল মহিলা অনুরাগীদের মনে। তার পর ‘ভুলভুলাইয়া ২’, ‘ফ্রেডি’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-সহ একাধিক ছবি করেছেন। চন্দুর পেশিবহুল শরীরে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কার্তিক আরিয়ান জানালেন, তাঁর ফিটনেস রহস্য। নিরামিষ খেয়েও যে এমন সুগঠিত শরীর পাওয়া সম্ভব সেই প্রমাণই রেখেছেন বলিউড অভিনেতা।

Advertisement

পেশি তৈরি করতে হলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন প্রয়োজন, এ কথা ফিটনেস প্রশিক্ষকদের পরামর্শ এবং আলোচনা থেকে স্পষ্ট। ভাল প্রোটিনের মধ্যে এগিয়ে থাকে ডিম, মাছ, ফ্যাটহীন মাংস। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও প্রোটিন মেলে, তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সেটি হল ‘ইনকমপ্লিট বা অসম্পূর্ণ প্রোটিন।’ তা সত্ত্বেও কী ভাবে এমন সুঠাম গড়ন কার্তিকের।

অভিনেতার প্রোটিন নির্ভর ডায়েটে থাকে অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, বাদাম, ডাল, পনির, টোফু। এ ছাড়াও, তিনি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার খান। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট অুনষ্ঠানে নিজের ডায়েটের কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। মজার ছলে বলেছেন, ‘‘কারও বিষয়টি যন্ত্রের মতো মনে হতে পারে। তবে আমি ছ’মাস টানা রাতে টম্যাটো স্যুপ খেয়ে ঘুমিয়েছি।’’

Advertisement

কোন খাবারে কত প্রোটিন

· অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, বাদাম মিশিয়ে খেলে বা কোনও একটি খেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম অঙ্কুরিত মুগ বা ডাল জাতীয় খাবার থেকে ২৮ গ্রাম প্রোটিন মেলে।

· টোফুতেও উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকে। আধ কাপ টোফুতে প্রায় ২২ গ্রাম প্রোটিন মেলে, যা একটি ডিমের চেয়েও বেশি। একটি ডিমে ১২-১৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

· পনিরেও যথেষ্ট প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পনিরে ১৮ গ্রাম প্রোটিন মেলে।

দিল্লির পুষ্টিবিদ অঞ্জলি কালিয়া জানাচ্ছেন, টোফু, পনির, ডাল, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, সবতেই যথেষ্ট প্রোটিন পাওয়া যায়। সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে, সঠিক ডায়েট মেনে খেলে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থেকেও সুঠাম শরীর পাওয়া সম্ভব। ডিম, মাছ, মাংসকে কমপ্লিট বা সম্পূর্ণ প্রোটিনের তালিকায় ফেলা হয়, কারণ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম অ্যামাইনো অ্যাসিড মেলে। তবে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে সবটা মেলে না। কিন্তু কেউ যদি সঠিক ডায়েট মানেন, এবং ডালের পাশাপাশি টোফু, পনিরও ডায়েটে জুড়ে নেন, তা হলে সেই ঘাটতি পূরণ হওয়া সম্ভব।

তবে একই খাবার টানা খাওয়ার পক্ষপাতী নন পুষ্টিবিদ। তাঁর পরামর্শ, পুষ্টিকর খাবার একটানা খেলেও শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। কারণ, এক ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণের সীমাবদ্ধতা থাকে। যে কোনও খাবারের পুষ্টিগুণ ভিন্ন। এক এক রকম খাবারে এক এক ধরনের ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলে। ভিটামিন বি১২, আয়রন, জ়িঙ্ক শরীরের জন্য খুব জরুরি। বিশেষত নিরামিষ খেলে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণে দুগ্ধজাত এবং উদ্ভিজ্জ, দুই ধরনের প্রোটিন খাবারের উপর নির্ভর করতে বলছেন তিনি।

ফলে ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকলে পুষ্টিতে ভারসাম্য থাকবে। পুষ্টিবিদ বলছেন, কোনও দিন যদি কেউ কাবলি ছোলা খান, পরদিন তিনি মুসুর ডাল খেতে পারেন, তার পরের দিন রাজমা। একসঙ্গে মিশিয়ে তড়কাও খাওয়া যায়। আবার কুমড়ো বীজ, তিসির বীজ প্রোটিনের পাশাপাশি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে সক্ষম। টোফু, পনিরও থাকা দরকার। একই সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার, গ্রিক ইয়োগার্ট দিয়ে স্মুদি খাওয়া যেতে পারে। সব্জি দিয়ে কিনোয়া বানালেও শরীরের প্রোটিনের পাশাপাশি অন্য ভিটামিন, খনিজের চাহিদা পূরণ হবে।

একই সঙ্গে পুষ্টিবিদের পরামর্শ, কম তাপমাত্রায় এবং কম তেল-মশলায় রান্নার। না হলে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement