ওজন ঝরিয়ে সম্পূর্ণ ভোলবদল হানি সিংয়ের। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পূর্ণ ভোলবদল। দেশের জনপ্রিয় র্যাপার, সঙ্গীতকার হানি সিংহকে চেনা দায়। হৃষ্টপুষ্ট হানি এখন ছিপছিপে চেহারা ধারণ করেছেন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের রূপ পরিবর্তনের ছবি পোস্ট করে চমকে দিয়েছেন অনুরাগীদের। গত মার্চে হানি নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি মাত্র এক মাসে তার শরীরের ওজন ৯৫ কিলোগ্রাম থেকে ৭৭ কিলোগ্রামে নামিয়ে এনেছেন। কিন্তু কী ভাবে? র্যাপারের ফিটনেস প্রশিক্ষক সেই রহস্য ফাঁস করলেন সম্প্রতি। সুশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস, হাই-ইনটেনসিটি প্রশিক্ষণ সেশন এবং বিশেষ একটি ডিটক্সিফাইং জুসই ছিল হানির মূলমন্ত্র। সকালে খালিপেটে পান করার জন্য বানানো এই বিশেষ পানীয় দ্রুত বিপাকে সাহায্য করেছে তাঁকে।
ওজন কমানোর জন্য কোন ডিটক্স ওয়াটারে ভরসা রেখেছিলেন হানি? কী কী থাকত তাতে?
বিটরুট: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভাল উৎস, যা রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে।
আমলকি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। হজম করাতে সাহায্য করে।
শসা: টক্সিন দূর করতে এবং জলশূন্যতার সমস্যা মেটাতে পারে।
গাজর: পুষ্টি সরবরাহ করে হজমশক্তিকে ভাল করে।
ধনেপাতা: বিপাকীয় কার্যকলাপকে সক্রিয় রাখে। এই পাঁচ উপাদানে বানানো পানীয় সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতেন হানি। ফলে সারা দিন ধরে বিপাকীয় কার্যকলাপ সুষ্ঠু ভাবে চলত।
হানি শরীরচর্চার প্রতি খুবই নিষ্ঠাবান ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনের খাওয়াদাওয়া কেমন ছিল তাঁর?
সকাল: ফাইবারের সমৃদ্ধ ডিটক্স জুস, তার পর পিউরি করা সব্জি।
দুপুর: প্রোটিন-কার্ব অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ মুরগির পদ।
সন্ধ্যা: সব্জির হালকা স্যুপ অথবা সেদ্ধ মুরগির অন্য কোনও পদ।
রাত: ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ শাকসব্জি বা স্যুপ।
নিয়মমাফিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি হানি শরীরচর্চার প্রতি খুবই নিষ্ঠাবান ছিলেন ওজন ঝরানোর জন্য। পেশি মজবুত করার জন্য ভারোত্তোলন করতেন। ক্যালোরি ঝরানোর জন্য কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট করতেন সঙ্গীতশিল্পী।