হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডে পোলো খেলার সময় বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের। তাঁর সহকর্মী সুহেল শেঠ জানিয়েছেন, ঘোড়ার পিঠে চেপে ম্যাচ খেলতে খেলতে আচমকা সঞ্জয়ের গলায় একটি মৌমাছি চলে যায়। তিনি সেটি গিলেও ফেলেন ভুলবশত। তার পরই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু মৌমাছি গলায় চলে যাওয়ার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক কী?
হার্টের চিকিৎসক উদয়শঙ্কর দাস জানাচ্ছেন, এই মৃত্যুর নেপথ্য কারণ এ ভাবে বলা সম্ভব নয়, কারণ একাধিক ঝুঁকি থাকতে পারে। প্রথমত, ঘটনা দু’টি কাকতালীয় হতে পারে। মৌমাছি গিলে ফেলা এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া একসঙ্গেই হয়তো ঘটেছে। তবে মৌমাছির সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে এই ঘটনা। মৌমাছির হুলের কারণে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। যা করোনারি রক্তনালির সংক্রমণ ঘটায়, এমনকি, হার্ট অ্যাটাকের কারণও হতে পারে। আসলে মৌমাছির বিষ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলে প্রদাহ সৃষ্টিকারী পদার্থ নিঃসৃত হয়ে ধমনীগুলিকে সঙ্কুচিত করে। একে বলা হয়, ‘কুনিস সিনড্রোম’। সঞ্জয়ের সঙ্গেও এমনটা ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা যায়।
হার্টের চিকিৎসক আফতাব খান বলছেন, ‘‘এই ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু মৌমাছির হুল থেকে গুরুতর অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাকে বলে অ্যানাফিল্যাক্সিস। স্ট্রেসে হার্ট অ্যাটাকের অনুঘটক হতে পারে এটি।’’