ছবি : সংগৃহীত।
যখন প্রথম বলিউডে এসেছিলেন, তখনকার তিনি আর এখনকার তাঁর মধ্যে অনেক তফাত। কুড়ির কোঠার আয়ত চোখের মিষ্টি দেখতে অভিনেত্রীর থেকে ৪৬-এর পূর্ণবয়স্ক, অন্য ধারার ছবির পরিচালক কঙ্কনা চেহারায়, ব্যক্তিত্বেও আলাদা। নতুন কঙ্কনা অনেক বেশি ফিট। শারীরিক ভাবে কর্মঠ, অনেক বেশি নির্মেদ, টান-টান। কী করে ৪৬ বছর বয়সেও এতটা ফিট তিনি? সেই রহস্য নিজেই ভেদ করেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘২০-৩০ বছর পর্যন্ত যা যা করব বলে ভাবিনি, তার সব কিছু বা বলা ভাল কিছু বেশিই এখন করছি। জীবন যাপনের ধরনটাই বদলে ফেলেছি পুরোপুরি।’’
এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন বদলে যাওয়ার কথা বলেছেন কঙ্কনা। তিনি বলেছেন, ‘‘বয়স ৩০ পেরোনোর কিছু দিন পরেই আমি মা হই। তার পরেই আমি যোগাসন শুরু করি। তারও পরে বয়স যখন ৪০ পেরোল, তখন স্ট্রেংথ ট্রেনিং শুরু করি। আমি বলব, ওই সিদ্ধান্তনই আমাকে মানসিক আর শারীরিক ভাবে অনেকটা বদলে দেয়। আমি ভাল থাকতে শুরু করি।’’
কঙ্কনা জানাচ্ছেন, তিনি তাঁর খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসেও বদল এনেছেন। কিন্তু শরীরচর্চাই তাঁর জীবনকে মূলত বদলেছে। কঙ্কনার কথায়, ‘‘চল্লিশের পরে আমি বুঝেছি, ওজন ঝরানোটা আসল উদ্দেশ্য নয়। পেশির শক্তি বৃদ্ধি করাটা সবচেয়ে জরুরি। তাতে যেমন আপনার মস্তিষ্ক ভাল থাকবে, তেমনই আপনি অনেক হালকা বোধ করবেন। আপনার হাঁটাচলা করতে, শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কোনও অসুবিধা হবে না।’’
তবে একই সঙ্গে কঙ্কনা জানাচ্ছেন, কেউ যদি ওজন ঝরাতে চান, তবে এক্সারসাইজ়ের থেকেও বেশি মন দিতে হবে খাবারে। কঙ্কনা জানাচ্ছেন, তিনি নিজে একটি বিশেষ ডায়েট মেনে চলেন। তিনি বলছেন, ‘’৩৫ পেরোনোর পরে আমি বুঝতে শিখেছি, শরীরে ম্যাগনেশিয়াম কেন জরুরি। কেন প্রোটিনের মাত্রা বেশি হওয়া দরকার। কেন সব্জি এবং ফলমূল বেশি করে খাওয়া দরকার।’’
কঙ্কনা কোন নিয়মে খাওয়া দাওয়া করেন?
উপোস
বলিউডের পরিচালক তথা অভিনেত্রী কঙ্কনা জানিয়েছেন, তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। তবে রোজ নয়। সপ্তাহে ৪-৫ দিন রাতের শেষ খাবার আর সকালের প্রথম খাবারের মধ্যে ১৪ ঘণ্টা উপোস থাকেন। বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টার উপোস রাখার চেষ্টা করেন তিনি।
থালায় কী থাকে
বেশি করে ফল, বাদাম, চিয়াবীজ, তিসির বীজ ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া নানা ধরনের প্রোটিনে ভরপুর খাবার থাকে তাঁর সারা দিনের মেনুতে। আরও একটি পুষ্টিগুণে গুরুত্ব দেন কঙ্কনা। তা হল ম্যাগনেশিয়াম।