পার্শ্ব বকাসনে লাভ কী হবে? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
সুস্থ থাকতে শারীরচর্চা ও নিয়মিত স্বাস্থ্যকর আহারের বিকল্প নেই। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। সঙ্গে থাকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ওজন বৃদ্ধি, কোমরে ব্যথা, কুঁজো হওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে আত্মবিশ্বাসও হারাতে থাকেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান করতে পারে যোগাসনের কিছু পদ্ধতি। পেশির শক্তি বাড়ানো ও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে যোগাসনের বিকল্প নেই। এমন কিছু আসন অভ্যাস করতে পারেন, যাতে সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে। পার্শ্ব বকাসন তেমনই এক পদ্ধতি।
পার্শ্ব বকাসনকে বলা হয় ‘সাইড ক্রো পোজ়’ বা ‘সাইড ক্রেন পোজ়’। এটি বকাসনের একটি পদ্ধতি, যাতে শরীরে মোচড় দিতে হয়। এই আসন জটিল, ধীরে ধীরে অভ্যাস করলে আয়ত্তে আসবে। এতে যেমন শরীরের ‘ব্যালান্স’ বাড়বে, তেমনই ‘কোর মাসল’ –এর ব্যায়ামও হবে। পেট ও ঊরুর উপরের অংশ পর্যন্ত পেশিগুলিকে ‘কোর মাসল’ বলা হয়। শরীরের এই অংশটির সঙ্গে মেরুদণ্ডের যোগ থাকে। তাই শরীরের ঊর্ধ্বাংশের সঙ্গে নিম্নাংশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই পেশিগুলি। এই পেশি মজবুত হলেই শরীরের জোর বাড়বে, জটিল অসুখের ঝুঁকি কমবে।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে হাতের তালু মেঝেতে রেখে হাঁটু ভেঙে বসুন।
২) এ বার হাতের উপর ভর দিয়ে দুই পা উপরে তুলতে হবে।
৩) গোটা শরীরের ভার থাকবে হাতের উপরে, শরীর সামান্য নীচের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখতে হবে।
৪) এ বার সেই অবস্থাতেই শরীর ডান দিকে বা বাঁ দিকে মোচড় দিতে হবে। হাতের উপর ভর রেখেই দুই পা-ও সেই দিকেই তুলতে হবে।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে।
কেন করবেন?
পার্শ্ব বকাসনে গোটা শরীরের ভার যেহেতু হাতের উপর থাকে, তাই হাতের পেশির জোর বাড়ে। হাতের মেদও কমবে।
শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে এই ব্যায়াম খুবই উপযোগী।
পায়ের পেশিরও ব্যায়াম হয় এই আসন করলে।
হজমশক্তি উন্নত হবে, পেটের মেদ কমবে, অম্বলের সমস্যা থাকলে তা দূর হবে।
মনঃসংযোগ বাড়বে নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে।
কারা করবেন না?
বাতের ব্যথাবেদনা থাকলে এই ব্যায়াম করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বারা এই ব্যায়াম করবেন না।
মেরুদণ্ডে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।