PCOS Diet

পিসিওএসে কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হয়, কোন খাবারটি খেলে উপকার বেশি হবে?

পিসিওএস হলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে হৃদ্‌রোগের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ১৯:১৫
Share:

পিসিওএসে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, কী খেলে ক্ষতি নেই? ছবি: ফ্রিপিক।

পিসিওএস বা পিসিও়ডি থাকলে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণ হলে ঋতুস্রাবও ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে যাবে এবং এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। তবে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই এ বিষয়ে একমত যে, ‘পিসিওএস’ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ (পিসিওএস) হল একটি সাধারণ হরমোনজনিত ব্যাধি। বয়ঃসন্ধির সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে এই রোগের প্রকোপ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

Advertisement

পিসিওএস ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে বলেন। কার্বোহাইড্রেট কম খেতে বলা হয়। ভাত-রুটি কম খেয়ে বরং বেশি করে শাকসব্জি, মরসুমি ফল এবং দানাশস্য যেমন ওট্‌স, কিনোয়া, ডালিয়া খেতে বলেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরাই। অন্যদিকে, দুধ, মাখন, ছানা, চিজ়ও কম খেলেই ভাল হয়।

পিসিওএস হলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তার থেকে হৃদ্‌রোগের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে খাওয়াদাওয়া তো একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই যদি বারে বারে খিতে পায় বা ভালমন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তা হলে হালকা স্ন্যাক্স খেতেই পারেন। তবে ভাজাভুজি নয়। সে ক্ষেত্রে পিসিওএসে সবচেয়ে ভাল খাবার হল চিয়া বীজ। ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চিয়া দিয়ে সকালের জলখাবার বা বিকেলের হালকা স্ন্যাক্স বানিয়ে নিতে পারেন।

Advertisement

পিসিওএসে কী ভাবে খাবেন চিয়া?

চিয়া পুডিং

১ কাপ গরম দুধ নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ চিয়া বীজ, ২ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার চাইলে কলা টুকরো করে কেটে নিয়ে সেই মিশ্রণে মেশাতে পারেন। গরুর দুধে অ্যালার্জি হলে সয়া মিল্ক বা কাঠবাদামের দুধও মেশানো যেতে পারে। মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিনি। ঘণ্টা দুয়েক রাখলেই পুডিং তৈরি হয়ে যাবে। অথবা সারা রাত ফ্রিজে রেখে সকালেও খেতে পারেন।

চিয়ার কুকিজ়

আধ কাপ দুধে ৪ চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার একটি পাত্রে সেই মিশ্রণ নিয়ে তার সঙ্গে একে একে কলা মাখা, নারকেল গুঁড়ো, ওট্স, পিনাট বাটার, চকো চিপ্‌স মিশিয়ে ছোট ছোট কুকির আকারে গড়ে বেক করে নিন। খিদে পেলে খেতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স

চিয়ার স্যালাড

চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে সেই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে দিন টুকরো করে কেটে রাখা ফল। ফলের মধ্যে কলা, আপেল, আঙুর ব্যবহার করতে পারেন। এ বার তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন কাঠবাদাম, কাজু আর কিশমিশ কুচি। এ ভাবে চিয়ার স্যালাড খেলে রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ক্যালোরিও ঝরবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement