Home Remedy

ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান? কয়েকটি খাবার নিয়ম করে খেলেই ধ্বংস হবে কৃমির বংশ

অনেকেই সরাসরি কৃমির ওষুধ খান। যদি ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান তবে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে পারেন। গ্রাম বাংলায় যখন ওষুধপত্র পাওয়া যেত না, তখন এই ধরনের ঘরোয়া টোটকাতে ভরসা করতেন মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০০
Share:

কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানির অনুভূতি হয়। ছবি: প্রতীকী

কৃমি এক প্রকারের পরজীবী প্রাণী। ভারতীয় জলবায়ুতে কৃমির উৎপাত খুবই বেশি। শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেলেও যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমেই কৃমি শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পানীয় জলের মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।

Advertisement

কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানির অনুভূতি হয়। সঙ্গে ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়াও কৃমির লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় দেখা যায় কৃমি হলে কিছু ক্ষণ পর পর থুতু ফেলতে থাকে শিশু। এমনকি, কৃমির উপদ্রব বাড়লে খিমচে দেওয়া এবং কামড়ে দেওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। অনেক সময়ে মলের মাধ্যমেও কৃমি বেরিয়ে আসে।

কোন কোন খাবার খেলে কমতে পারে কৃমির সমস্যা?

Advertisement

অনেকেই সরাসরি কৃমির ওষুধ খান। কিন্তু অনেক সময়ই ফিরে আসে সমস্যা। যদি ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান তবে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে পারেন। গ্রাম বাংলায় যখন ওষুধপত্র পাওয়া যেত না। তখন এই ধরনের ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা করতেন মানুষ।

১। লবঙ্গ

লবঙ্গের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এক কাপ জলে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে নিন। সেই জল সারা দিন অল্প অল্প করে খান। লবঙ্গ দিয়ে ফোটানো জল শুধু কৃমি নয়, কৃমির ডিমও নির্মূল করে বলে মনে করেন অনেকে।

২। নিমপাতা

কৃমি কমাতে তেতো খেতে বলেন অনেক প্রবীণ মানুষই। কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে সেই জল খান। তবে যে পাত্রে পাতাবাটা রাখবেন, সেই পাত্রে যেন বাতাস না ঢুকতে পারে।

ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়াও কৃমির লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

৩। কুমড়োর বীজ

কয়েকটি কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এ বার সম পরিমাণ জল ও নারকেলের দুধের মিশ্রণের মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন। কৃমি তাড়ানোর অব্যর্থ ওষুধ।

৪। হলুদ

কাঁচা হলুদ বেটে রস করে নিন। এক চা-চামচ হলুদের রসে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। আধ কাপ গরম জলে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়েও খেতে পারেন। এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেই উপকার পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন