Brain Power Tips

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে কমে মস্তিষ্কের ধার, মস্তিষ্ককে সতেজ রাখবেন কী উপায়ে?

মস্তিষ্ককে সব সময়ে চনমনে ও সতেজ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন উপায়ে যোগাবেন মস্তিষ্কের পুষ্টি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:২১
Share:

মস্তিষ্ককে সতেজ রাখবেন কী উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।

বয়স বাড়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমতে থাকে, এটা স্বাভাবিক। চিকিৎসাশাস্ত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। কয়েকটি অভ্যাস মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

) নতুন কিছু শেখা: নতুন ভাষা শেখা, নতুন হাতের কাজ শেখা বা নতুন একটি যন্ত্র বাজাতে শেখা— এই সব কাজ মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। নতুন কিছু শেখার আনন্দে আমাদের মনও সতেজ ও চনমনে থাকে।

২) পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জন: নিত্যনতুন তথ্য এবং জ্ঞান আহরণের অভ্যাস মাথা এবং মনের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত বই পড়া, সংবাদপত্র পড়া, ছবি দেখা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।

Advertisement

) ধাঁধা সমাধান: ক্রসওয়ার্ড, সুডোকু, জিগস পাজ়ল, বিভিন্ন ধাঁধার সমাধান করার ঝোঁক নিয়ে মজে থাকলে বুদ্ধির ব্যায়াম হয়। এতে সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন রাস্তার সন্ধান মেলে, মনোযোগ বাড়ে।

৪) লেখালিখি: নিয়মিত লেখালিখির অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য একটি চমৎকার ব্যায়াম। ডায়েরি লেখা, কবিতা বা গল্প লেখা আমাদের মন আর মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের ধার বজায় থাকবে কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত

৫) গান শোনা ও গান গাওয়া: আমাদের মস্তিষ্কের উপর সুরের প্রভাব অনন্য। গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের সুর স্নায়ুকে বিভিন্ন ভাবে উদ্দীপিত করে। বিভিন্ন ধরনের সুর ও তালের গান শোনা এবং গাওয়া মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

৬) ধ্যান ও মনোযোগ: নিয়মিত ধ্যান ও মনোযোগ অনুশীলন একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্নায়ু শান্ত হয়।

এরই পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে শরীরের। কয়েকটি দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া যায়।

১) শারীরিক পরিশ্রম: নিয়মিত হাঁটা, দৌড়নো, সাঁতার, এবং অন্যান্য শারীরিক ব্যায়ামে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ ও চনমনে থাকে।

২) ঠিক সময়ে ঘুম: শরীরকে সুস্থ রাখতে ঠিক সময়ে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম শরীর ও মন সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

৩) সুষম খাদ্য গ্রহণ: পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মস্তিষ্কের পুষ্টিও নিশ্চিত করা যায়।

৪) সামাজিক যোগাযোগ: বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

এমন সব অভ্যাস রপ্ত করে নিলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, মানসিক চাপ কমে এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement