রেটিনল স্যালাড কী, কেমন ভাবে বানাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
ত্বক ভাল রাখতে কেবল ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করলেই হবে না। খেতে হবে এমন খাবার, যা ভিতর থেকে ত্বককে তরতাজা রাখবে। কেবল তা-ই নয়, ত্বকের কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা নেবে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে যে সব উপাদান ব্যহার করা হয়, তার মধ্যে রেটিনল অন্যতম। এই রেটিনল ত্বককে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ফলে ত্বকে কালচে দাগছোপ, বলিরেখা, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলিকে ঠেকিয়ে রাখা যায়। এখন কথা হল, রেটিনল দেওয়া ক্রিম মাখবেন, না কি রেটিনল আছে এমন খাবার খেলে ত্বক ভাল থাকবে?
‘হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল’-এর একটি গবেষণাপত্রেও দাবি করা হয়েছে, ত্বকের বার্ধক্য রুখতে পারে রেটিনল। এটিকে বলা হয় ভিটামিন এ১। রেটিনল ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ভিটামিনের এই বিশেষ ধরন, ত্বকে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যাও দূর করতে পারে।
তবে রেটিনল সরাসরি মুখে মাখলে তার থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে অনেকের। রেটিনল মাখলে মুখ জ্বালাও করে। অন্তঃসত্ত্বাদের রেটিনল দেওয়া ক্রিম বা প্রসাধনী ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। তাই রেটিনল ত্বকে সরাসরি মাখার চেয়ে রেটিনল-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করেন গবেষকেরা।
কী ভাবে খাবেন?
রেটিনল স্যালাড খাওয়া যেতে পারে। সেটি কী ভাবে বানাবেন জেনে নিন।
উপকরণ
৫টি গাজর
৩-৪ কোয়া রসুন
২ চা চামচ ভিনিগার
২ চা চামচ সয় সস্
২ চা চামচ তিসির তেল
১ টি গোটা পাতিলেবুর রস
এক মুঠো তিসির বীজ
প্রণালী
গাজর ভাল করে ধুয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে পাতলা গোল গোল টুকরো করে নিন। এ বার গাজরের টুকরোর সঙ্গে ভিনিগার, তিসির তেল, সয়া সস্, রসুনের কোয়া, পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। তিসির বীজ শুকনো খোলা নেড়ে দিয়ে গুঁড়িয়ে নিতে হবে। সেটি ছড়িয়ে দিন স্যালাডের উপর। তৈরি হয়ে গেলে সেটি ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তার পর উপর থেকে কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারেন।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। যাঁদের ত্বকে রেটিনল সহ্য হয় না, তাঁরা এই স্যালাড বানিয়ে খেতেই পারেন। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।