Heatwave Precautions

বাড়ছে তাপমাত্রা! বাইরে বেরোনোর আগে কোন ৫ বিষয়ে সতর্ক না হলেই বিপদ বাড়তে পারে?

তাপদাহের কারণে অফিস-কাছারি তো আর থেমে থাকবে না। তাই রাস্তায় বেরোনোর আগে কী কী সতর্কতা নেবেন, র‌ইল হদিস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৩
Share:

তাপমাত্রার চোখরাঙানি ঠেকাবেন কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।

চৈত্র মাস এখনও শেষ হয়নি, তার আগেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। আগামী সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় তাপপ্রবাহ হতে পারে, সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। বরং ধীরে ধীরে আরও চড়বে তাপমাত্রার পারদ। সব জেলাতেই চৈত্রের শেষে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে সোমবার থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা এবং উত্তরে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহ হতে পারে।

Advertisement

তবে তাপদাহের কারণে অফিস-কাছারি তো আর থেমে থাকবে না। তাই রাস্তায় বেরোনোর আগে কী কী সতর্কতা নেবেন, র‌ইল তার হদিস।

১) এই সময়ে প্রথমেই ‘সানবার্ন’ বা প্রবল রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ত্বক লাল হয়ে যায়। সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পারে। ত্বক পুড়ে গেলে আক্রান্ত জায়গাটিতে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কিছু না লাগানোই ভাল। ফুসকুড়ি হলে তা ফাটানোর কোনও চেষ্টা যেন করা না হয়। বদলে চড়া রোদে না থাকা, ঠান্ডা জলে ভেজানো কাপড় ত্বকের উপর রাখা, তার পরও না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে ত্বকের অনেকটা অংশ জুড়ে র‌্যাশ বেরোতে পারে। একে ‘হিট র‌্যাশ’ বলা হয়। ‘হিট র‌্যাশ’ এড়াতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

Advertisement

২) এই সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি হলেই মুশকিল। জল ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি হলে পেশিতে টান পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সমস্যাকে ‘হিট ক্র্যাম্পস’ বলা হয়। এই সমস্যা এড়াতে জল বেশি করে খেতে হবে। বাইরে বেরোলেই নুন-চিনির জল বা ওআরএস নিয়ে বেরোন। মাঝেমধ্যেই পানীয়তে চুমুক দিতে থাকুন।

এই সময় হালকা সুতির পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) এই সময়ে ‘হিট স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হলে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। তাই ঘাম হয় না। কিন্তু হিট স্ট্রোক হলে তা থেকে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্রে প্রভাব পড়তে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। তার সঙ্গে ভুল কথাও বলতে পারেন। ঘাম না হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে রোগীকে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিলে ভাল।

৪) তেল-মশলাদার খাবার এ সময়ে এড়িয়ে চলুন। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত আমিষ খাবার এই সময়ে কম খাওয়াই ভাল। তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এমন খাবার খান। একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে অল্প মাত্রায় বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৫) এই সময় হালকা সুতির পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতা়ড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল পরুন। ব্যাগে সানগ্লাস, স্কার্ফ, জলের বোতল, ছাতা রাখতে ভুলবেন না যেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন