ওট্স খেয়েও ওজন কমছে না? ছবি: সংগৃহীত।
চটজলদি ওজন ঝরাতে প্রথমেই বদলে ফেলতে হয় ডায়েটের রোজনামচা। ওজন কমানোর আশায় খাবারের মধ্যে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে ওট্স। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান। সবচেয়ে বড় কথা ওট্সে একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালে প্রাতরাশ না করেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এর কারণে শরীরে হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজনও বেড়ে যেতে পারে অনেকটা। এ ক্ষেত্রেও ওট্সের মাধ্যমেই হতে পারে মুশকিল আসান। রাতেই ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন ওট্স। সকালে পাঁচ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর জলখাবার। সময়ও বাঁচবে আর পেটও ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ।
কী ভাবে ভিজিয়ে রাখবেন ওট্স?
রাতে ঘুমানোর আগে দই, আমন্ড দুধ কিংবা গ্রিক ইয়োগার্টে ভাল করে মিশিয়ে রেখে দিন ওট্স। পরের দিন সকালে উঠে দেখবেন ওট্স একেবারে নরম হয়ে গেছে। এই ওট্স দিয়েই এ বার বানিয়ে ফেলুন পছন্দের মতো জলখাবার।
এই পদ্ধতি অনুসারে ওট্স বানালে ঠিক কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) অনেকেই ওট্স হজম করতে পারেন না। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিলে ওট্সের মধ্যে উপস্থিত স্টার্চ জাতীয় পদার্থ ভেঙে যায় এবং প্রাকৃতিক ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। ফলে শরীরে ওট্সের পুষ্টিগুণ বেশি পরিমাণে শোষিত হয়। রান্না করা ওট্সের তুলনায় ভিজিয়ে রেখে ওট্স খেলে তা হজম করতে সুবিধা হয়।
২) শর্করাযুক্ত সব খাবারেই ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ পাওয়া যায়। কিন্তু রান্না করা খাবারের পরিবর্তে ঠান্ডা স্টার্চযুক্ত খাবারে এটি ভরপুর মাত্রায় থাকে। ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ হল একটি প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, ওজনও কমায়। তাই রাতে ওট্স ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে।
৩) সকালে উঠে গ্যাস জ্বলিয়ে রান্না করে জলখাবার বানাতে ইচ্ছে না করলে রাতে ভিজিয়ে রাখা ওট্স দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু পদ। আপেল, কলা, আম কিংবা বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়েই বানিয়ে ফেলুন জলখাবার। স্বাদ বাড়াতে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। ওই সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ওট্স স্মুদিও।