আলিয়া-প্রিয়ঙ্কা-বিরাট। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ-মাংস ছেড়ে নিরামিষাশীদের তালিকায় নাম জুড়ল আরও এক বলিউড তারকার। আলিয়া ভট্ট, শাহিদ কপূর, অক্ষয় কুমারের দলে যোগ দিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। ভারতের মেয়ে হলেও এখন তিনি আমেরিকার পুত্রবধূ। পাকাপাকি ভাবে এখন আমেরিকায় থাকতে হলেও কর্মসূত্রে এবং পারিবারিক কাজে মাঝেমধ্যেই ভারতে আসতে হয় ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়ঙ্কাকে। বিদেশে থাকার সময় তাঁর পছন্দের ভারতীয় খাবারগুলি খাওয়ার জন্য মনকেমন করে প্রিয়ঙ্কার, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, কয়েক দিন হল তিনি আমিষ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন নিরামিষভোজী। রাতের খাবারে আমি গরম স্যুপ খাই। সেই স্যুপটি অনেক সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকরও বটে। দুপুরের খাবারেও আমি বেশির ভাগ দিনে স্যুপই খাই। ডাল, ঢেঁড়শ আর আলু-ফুলকপির তরকারিও খেতে ভালবাসি। এর সঙ্গে রায়তা আর আচার থাকতেই হবে। স্যালাড রাখাও ভীষণ জরুরি।
কেবল বলিউডের তারকারাই নন। শারীরিক কারণে নিরামিষভোজী হয়েছেন ক্রিকেটার বিরাট কোহলিও। কেন নিরামিষের দিকে ঝুঁকছেন তারকারা?
১) প্রাণিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব বেশি মাত্রায় থাকে, অন্য দিকে উদ্ভিজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে কম মাত্রায়। খুব বেশি মাত্রায় প্রাণিজ প্রোটিন খেলে কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা আমিষ খাবার খান, তাঁদের তুলনায় নিরামিষাশীরা দ্রুত ওজন ঝরাতে সক্ষম।
৩) দ্য ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে সপ্তাহে এক দিন নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে। ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে, প্রাণিজ প্রোটিন ও প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪) সারা বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। ডায়েটে অনেক বেশি মাছ, মাংস, ডিম রাখলে পেট গোলমাল করতেই পারে। নিরামিষ খেলে বেশি করে শাকসব্জি আর ফল খাওয়া হয়। এতে পেটের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
৫) উদ্ভিজ্জ খাবার শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই খাবারে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে, ফুসফুস ভাল রাখতেও বেশ উপকারী এই প্রকার খাদ্যাভাস।