Egg

৪০ পেরোনোর পর রোজ ডিম খাওয়া কি ঠিক? না কি সুস্থ থাকতে রাশ টানা জরুরি?

আট থেকে আশি— ভিতর থেকে ফিট থাকতে ডিম খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু একটা বয়সের পর রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, অনেকেই সেটা বুঝতে পারেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৯
Share:

বয়স বাড়লে ডিম খাওয়া কমানো জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

ডিমে অফুরান পুষ্টিগুণ। সুস্থ থাকতে ডিম খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকেন। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— ডিমের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসক, উভয়েই নিয়মিত ডিম খাওয়ার কথা বলে থাকেন। বিশেষ করে ওজন ধরে রাখতে ডিম সত্যিই উপকারী। ডিমে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন। দ্রুত ওজন কমাতে প্রোটিনের জুড়ি মেলা ভার। একটি সিদ্ধ ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ ৬ গ্রামের একটু বেশি। পাশাপাশি এতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি। কোলেস্টেরল থাকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম মতো।

Advertisement

আট থেকে আশি— ভিতর থেকে ফিট থাকতে ডিম খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু একটা বয়সের পর রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, অনেকেই সেটা বুঝতে পারেন না। এই ভাবনা মাথায় আসে ৪০-এর পর থেকেই। চল্লিশের পর ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়। বয়স ৪০ পেরোলে কি ডিম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একেবারেই নয়। বয়স যত বাড়তে থাকে পেশির ক্ষয় শুরু হয়। ডিম পেশির ক্ষয় আটকায়। ডিমে যে হেতেু পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন আছে, ফলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় ডিম খেলে। তা ছাড়া ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য। এতে লিউসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি গঠনে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি ডিমে থাকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

Advertisement

বয়স ৪০ পেরলে কি ডিম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেই চল্লিশ পেরিয়ে গেলে কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। আধুনিক গবেষকদের একাংশ বলছেন, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়। কারণ, এক জন সুস্থ ব্যক্তি মোটামুটি দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেতে পারেন। কাজেই রোজ একটি করে ডিম খেলে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে সপ্তাহে তিনটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। যাঁরা তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না, তাঁরা ডিম খেতে পারেন কুসুম বাদ দিয়ে। তবে মনে রাখবেন সকলের শরীর সমান নয়। কাজেই কোনও অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে বা পুষ্টি সংক্রান্ত কোনও দ্বিধাবোধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন