Roti cause weight gain

রুটি খেলেও ওজন বাড়ে! ভাত ছেড়ে শুধু রুটি খেয়ে উল্টো ফল হচ্ছে না তো?

রুটি খেলেও কি ওজন বাড়তে পারে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আটার রুটি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বেশি খেলে শুধু ওজন নয়, বাড়বে সুগারও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১১
Share:

আটার রুটি বেশি খেলে ওজনও বাড়বে, সুগারও, কেন বলছেন পুষ্টিবিদেরা? ছবি: ফ্রিপিক।

ওজন কমাতে এখন অনেকেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। বদলে রুটি খেতে শুরু করেন। ধারণা এমন, যে ভাতের বদলে রুটি খেলে ওজন বাড়বে না। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রুটি খাওয়া ভাল, কিন্তু আটার রুটি বেশি খেলে ওজন যেমন বাড়বে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাবে। ডায়াবিটিসে যদি ভাত খাওয়া বন্ধ করে শুধু রুটি খেতে শুরু করেন, তা হলে সুগার আরও বেড়ে যাবে।

Advertisement

ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট কম খেতে বলা হয়। তবে একেবারে বন্ধ করে দিলে মুশকিল। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, ভাত অল্প করে দু’বেলা খেলে ক্ষতি নেই। পরিমাণ মেপে খেলে হজমও হবে আবার ক্যালোরিও বাড়বে না। কিন্তু যদি ভাতের বদলে দু’বেলা ৫-৬টি করে আটার রুটি খেতে শুরু করেন, তা হলে ওজন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সাদা আটা বা ময়দার রুটি বেশি খাওয়া ক্ষতিকর। বদলে জোয়ার, বাজার, রাগি বা মাল্টিগ্রেন আটার রুটি তুলনায় ভাল। তবে বাঙালি বাড়িতে রাগি বা বাজরার রুটি সাধারণত হয় না। তাই আটার রুটি খেলে কম খেতে হবে। সারা দিনে ৩-৪টি খাওয়া যেতে পারে, এর বেশি নয়। আর রুটির সঙ্গে সব্জি,কম মশলায় রান্না তরকারিই খাওয়া ভাল।

রুটি কেন কাঠগড়ায়?

Advertisement

এখন মনে হতেই পারে, যাঁরা রুটি খান, তাঁদের সকলেরই কি ওজন বেশি? তা নয়। তবে স্থূলত্ব থাকলে, রুটি বা ভাত যা-ই খান না কেন, তার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের রোগীদের রুটি বা ভাত মেপেই খেতে হবে। আটা বা ময়দা প্রক্রিয়াজাত। প্যাকেটজাত যে সব আটা বা ময়দা দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলিকে পরিশোধনের জন্য এত বেশি বার প্রক্রিয়াকরণ করা হয় যে এর থেকে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার বেরিয়ে যায়। সেই আটা বা ময়দার রুটি খেলে তখন তা আর কোনও কাজেই আসে না। উল্টে চর্বি হয়ে জমা হতে থাকে। পরিশোধিত শস্য দ্রুত হজম হয় এবং দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরিশোধিত আটা বা ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি। তাই খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজনও বাড়বে, সুগারও।

জোয়ার, বাজরা, রাগি বা ওট্‌সের রুটি সে দিক থেকে অনেক নিরাপদ। জোয়ারের রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তা ছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই জোয়ারের রুটি খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটে। ওজন বেশি হলে বাজরার রুটি ভাল। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম। ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে বাজরার রুটি। রাগিতে আয়রন বেশি থাকে, রাগির রুটি খেলে রক্তল্পতার সমস্যা মেটে। ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা রোজের ডায়েটে রাগির রুটি রাখতে পারেন। ওট্‌সেও ফাইবার বেশি থাকে। আটার বদলে ওট্‌সের রুটি খেলে ওজন দ্রুত কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement