Heart Attack Risk

কোন কোন রোগে আক্রান্ত হলে বছরে অন্তত এক বার হৃদ‌্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে হবে?

অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা। কোন কোন অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৪১
Share:

অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা। ছবি: শাটারস্টক।

ইদানীং খবরের শিরোনামে প্রতিদিনই থাকছে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর। কারও বয়স ৬০ কারও আবার ৩০-এর কোঠাতেই হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রাণ চলে গেল। মানসিক চাপ থেকে অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা। অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন যাপনের মধ্যেই নিহিত থাকে হৃদ্‌রোগের কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে আনে হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা। কোন কোন অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি?

Advertisement

১) পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্‌রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। তাই রাত জেগে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ় না দেখে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়াই শ্রেয়। প্রাত্যহিক ক্লান্তির থেকে শরীরকে সতেজ করতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।

২) ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলির জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছে মতো ওষুধ খান। মনে রাখা দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। এই সব রোগ থাকলে রোগীর বছরে অন্তত এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হৃদ‌্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

Advertisement

হৃদ্‌যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকানো যেতে পারে হৃদ্‌রোগ।

৩) অনেকেই সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা করেন নিয়মিত। কিন্তু অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চার ফল দিতে বিপরীত হতে পারে। কোভিড বা অন্য কোনও রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার পর শরীরচর্চা শুরু করার আগে পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞদের। আচমকা চাপে যেন অপ্রস্তুত না হয় শরীর। অপরিকল্পিত শরীরচর্চায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনাও শোনা যাচ্ছে ইদানীং।

৪) হৃদ্‌যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকানো যেতে পারে হৃদ্‌রোগ। কিন্তু বুকে ব্যথা বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলিকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে সঠিক সময়ে ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকি কমে হৃদ্‌রোগের। বিশেষত পরিবারে যদি হৃদ্‌রোগের ইতিহাস থাকে তা হলে নিয়মিত হৃদ্‌যন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের পরীক্ষা অবশ্যই দরকার।

৫) দ্রুত মেদ ঝরাতে কিংবা পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড বা সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। এই সব সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। এইগুলিও কিন্তু অল্প বয়সে হৃদ‌্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন