‎Glaucoma

২০ বছর বয়সেও চোখে হানা দিতে পারে গ্লুকোমা! কাদের ঝুঁকি বেশি?

ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও কেড়ে নিতে পারে গ্লুকোমা। কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৪
Share:

গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। প্রতীকী ছবি।

জানান না দিয়েই আসে এই দৃষ্টিঘাতী অসুখ। আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সেই মানুষের চোখে থাবা বসাতে পারে গ্লুকোমা। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও কেড়ে নিতে পারে এই রোগ। চিকিৎসকেরা গ্লুকোমাকে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন।

Advertisement

গ্লুকোমা কী, কেন হয় এই রোগ?

চিকিৎসকদের মতে, চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশেষ করে অপটিক স্নায়ুতে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণতর হতে থাকে, পরবর্তী কালে যা অন্ধত্ব ডেকে আনে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

যাঁরা ইনহেলার নেন তাঁদেরও গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে?

১) পরিবারে কারও বা নিজের ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লুকোমার আশঙ্কা বাড়তে পারে।

২) যাঁরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নেন নিয়মিত, তাঁদেরও গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। যাঁরা নেন ইনহেলার, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

৩) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী কালে সেখান থেকেও গ্লুকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

৪) চিকিৎসক এক বার পাওয়ার সেট করে দেওয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে যদি মাস কয়েকের মধ্যে বার বার পাওয়ার বেড়ে যায়, তা কিন্তু গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement