ChatGPT

ডায়েটে নুনের বিকল্প কী? প্রশ্ন চ্যাটজিপিটিকে, পরামর্শ অনুসরণের ফলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল বৃদ্ধকে

ডায়েটের পরিবর্তনে চ্যাটজিপিটির পরামর্শ অনুসরণ করে বিপদে পড়েন বৃদ্ধ। অসুস্থ হয়ে তাঁকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৩৫
Share:

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মানুষের জীবন অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। এআইকে প্রশ্ন করলে নানা সমস্যার সমাধানও হচ্ছে চটজলদি। কিন্তু চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যে এআইকে যে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ রূপে ভরসা করা উচিত নয়, তার প্রমাণ মিলেছে আমেরিকায়।

Advertisement

ডায়েটে নুনের বিকল্প কী হতে পারে, তা নিয়ে চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করেন ৬০ বছর বয়সি জনৈক ব্যক্তি। সেই মতো নিজের ডায়েটও সাজিয়ে নেন। কিন্তু তার পর ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কারণ, চ্যাটজিপিটি নুনের পরিবর্তে তাঁকে খাবারে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড (নুন) এবং সোডিয়াম ব্রোমাইডের রং সাদা এবং একই রকম দেখতে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ‘অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’ জার্নালে তিন জন চিকিৎসক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেখানে ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি এবং ডায়েটের পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি বাড়িতে জল ফুটিয়ে পান করতেন। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হন তিনি। ওই ব্যক্তি মনে করেন, সম্ভবত কোনও প্রতিবেশীর তাঁর খাবারে ‘বিষ’ প্রয়োগের কারণে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রোমাইডের সন্ধান পান। শরীরে এই রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি হলে, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।

Advertisement

ওই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন। তাঁর শ্রবণ ও দৃষ্টিভ্রমের লক্ষণ আরও স্পষ্ট হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর মানসিক চিকিৎসা শুরু হয়।’’ সেরে ওঠার পর ওই ব্যক্তি জানান, তিনি চ্যাটজিপির পরামর্শে নুনের বিকল্পের সন্ধান করেন। তার পর তিন মাস সেই মতো ডায়েটে থাকেন। চিকিৎসকেরা, চ্যাটজিপিটিকে পরবর্তী সময়ে একই প্রশ্ন করে যে উত্তর পেয়েছেন, সেখানে ব্রোমাইডের উল্লেখ রয়েছে।

ব্রোমাইড থেকে বিষক্রিয়ার ঘটনা গত শতকের প্রথমার্ধে বেশি লক্ষ করা যেত বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। কারণ, তখন রোগীকে আচ্ছন্ন বা অজ্ঞান করতে অনেক সময়ে ব্রোমাইড ব্যবহার করা হত। কিন্তু তার ফলে প্রায় ৮ শতাংশ রোগীর শেষ পর্যন্ত মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন হত। বর্তমানে পশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে কখনও কখনও ব্রোমাইড ব্যবহার করা হয়।

এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের তরফে ‘ওপেন এআই’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অবশ্য একটি বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘অসুস্থতা বা কোনও রোগের চিকিৎসায় সাহায্যের উদ্দেশে চ্যাটজিপিটি তৈরি হয়নি এবং এটা কোনও পেশাদারের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শের বিকল্প হতে পারে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement