রাতের খিদে মেটাতে কী কী খান রহমান? ফাইল চিত্র।
তিন দশক ধরে শ্রোতাদের অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন সুরকার এআর রহমান। আর তার মধ্যে বহু গানের জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে অস্কার, গ্র্যামির মতো সম্মানও রয়েছে। এক কথায়, তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পী। শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মও মেনে চলেন। কিন্তু রাতের দিকে খিদে পেলে আর নিয়ম মানার কথা মাথায় থাকে না তাঁর। রাত বাড়লে খাই খাই ভাবটা বড্ড বেড়ে যায় রহমানের। তখন সেই সব খাবারই খেতে ইচ্ছে করে তাঁর, যা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
রাতে খিতে পেলে সটান বার্গার অর্ডার করে দেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। পিৎজ়া, বার্গার ছাড়া কিছু মুখে রোচেই না তখন। মাঝেমধ্যে নিজের ছেলেকে দিয়েও অর্ডার করান জাঙ্ক ফুড।
বেশি রাতে খিদে পেলে হয় ভাজাভুজি কিছু খেতে সাধ জাগে, নয়তো আইসক্রিম, চকোলেটের দিকে হাত চলে যায়। মধ্যরাতের খিদে মেটাতে বেশির ভাগ সময়েই ফ্রিজে রাখা আইসক্রিম অথবা মিষ্টির দিকেই হাত বাড়ান অনেকে। আর এখন তো অনলাইনের কল্যাণে অর্ডার দিলেই বাড়ির দরজায় খাবার চলে আসে। রাতে এ সব খেলে বেড়ে যায় ওজন। ফলে সারা দিন নিয়ম মেনে খাবার খেয়েও লাভ হয় না।
খিদে পেলে তা চেপে রাখার মানে হয় না। বরং চেষ্টা করতে হবে এমন কিছু খাওয়ার, যা রাতে খেলেও গ্যাস বা অম্বল হবে না। ক্যালোরি বাড়ার ভয়ও থাকবে না। তবে মাঝরাতের খিদে মেটাতে সব সময়েই যে জাঙ্ক ফুড খান রহমান, তা নয়। মাঝেমধ্যে বেরি দিয়ে গ্রিক ইয়োগার্ট, পিনাট বাটার, পপকর্নও খেতে পছন্দ করেন তিনি।
এআর রহমানের মতো যদি মাঝরাতে আপনারও বার্গার খাওয়ার সাধ জাগে, তা হলে সে ইচ্ছায় রাশ টানাই জরুরি। ওই সময়ে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার কমে যায়। তাই সে সময়ে ভাজাভুজি বা মশলা দেওয়া খাবার খেলে তা হজম হতে অনেক দেরি হয়। পাকস্থলী থেকে উঠে আসে অম্লরস, যা খাদ্যনালি দিয়ে উপরে চলে আসে। ফলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা বাড়ে। তার চেয়ে রাতের খিদে মেটাতে কী খাওয়া উচিত তা জেনে রাখা ভাল।
রাতে বার্গার না খেয়ে কী খাবেন?
১) রাতের বেলায় বাদাম জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আমন্ড, আখরোট হাতের কাছে রাখুন। এই দু’টিতেই রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফোলেট রয়েছে এই দুই বাদামে।
২) কর্ন সেদ্ধ খুবই উপকারী। অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে চট করে খিদে পায় না। বাজার থেকে ভুট্টা কিনে এনে দানাগুলি বের করে নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। লেবুর রস ছড়িয়ে খেলে দিব্যি লাগে।
৩) খিদে বেশি পেলে পিনাট বাটার দিয়ে টোস্ট বা অ্যাভোকাডো টোস্ট খেতে পারেন।
৪) মধ্যরাতে হঠাৎ খিদে পেলে খেতে পারেন কিশমিশ, বেরি, শুকনো খেজুর, পেস্তা ইত্যাদি ড্রাই ফ্রুট।