Quit Smoking

নতুন বছরে ধূমপান ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন? কোন ৩ পন্থা কাজে আসতে পারে?

ধূমপান ছাড়বেন, এ কথা ভাবতে ভাবতেই একটা বছর ঘুরে গেল। কিন্তু চেষ্টা করেও এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৩
Share:

‘গোপনে’ নয়, ধূমপান ছাড়ুন, সকলকে জানিয়েই। ছবি- সংগৃহীত

সিনেমা হলে ছবি শুরু হওয়ার আগে ধূমপান সম্পর্কে যতই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকুক না কেন, এই নেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। যদিও ধূমপানের প্রভাবে যে শরীরের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে কম-বেশি সকলেই জানেন। ধূমপানের ফলে বিশ্ব জুড়ে প্রায় সত্তর লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরিসংখ্যান বলছে, মৃতদের মধ্যে ৮০ শতাংশই প্রাণ হারান চিকিৎসার অভাবে।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুস ছাড়াও স্তন, মাথা, ঘাড়, মলাশয় এবং জরায়ুর ক্যানসারের জন্য প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী ধূমপান। এ ছাড়াও ফুসফুসের স্থায়ী সমস্যা সিওপিডি-র মূলেও রয়েছে এই মারণ নেশা। যাঁরা ধূমপান করেন না, অথচ ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকেন, তাঁরাও এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারেন না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করছেন যাঁরা, তাঁদের পক্ষে এক দিনেই হঠাৎ এই নেশা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ইচ্ছা থাকলে পরিমাণে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা এই নেশা থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসকের সাহায্য পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।

Advertisement

চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও ধূমপান ছাড়ার আর কী কী উপায় রয়েছে?

১) অ্যাপের সাহায্য নিন

স্মার্ট ফোনের যুগে এখন অর্ধেকের বেশি মানুষেরই অ্যাপ নির্ভর জীবন। ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করবে এমন বহু অ্যাপ আছে। ধূমপানের ইচ্ছা হলেই অ্যাপ খুলে যোগ দেওয়া যায় নানা রকম কার্যকলাপে। ফোনে ওই বিশেষ অ্যাপগুলি থাকলে ধূমপায়ীদের উদ্দেশে নানা রকম ইতিবাচক বার্তাও দিয়ে থাকে তারা। শুধু তা-ই নয়, এই নেশা থেকে মুক্তি চান এমন অনেককে নিয়ে সেখানে তৈরি হয় সংগঠন। তাঁরাও একে অপরকে এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।

২) নিকোটিন প্রতিস্থাপন

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়ার জন্য এটিই হল সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য পন্থা। নেশা ছাড়তে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শরীরে নিকোটিন প্যাচ, চিউইয়িং গাম বা লজেন্স ব্যবহার করা যায়। এগুলি ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে অনেক অংশেই কার্যকর।

৩) ধূমপান করার ঝোঁক

অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধূমপান করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ধূমপান করার কারণটিকেই সরিয়ে ফেলা যায়, অর্থাৎ, মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা যায়, তা হলে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমে যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন