ঘি মাখানো রুটি ভালবাসেন রাজকুমার রাও। ছবি: সংগৃহীত।
এখন কোটিপতি। কিন্তু এক সময়ে নাচ শিখিয়ে আয় করতেন মাত্র ৩০০ টাকা। প্রথম বার যখন সেই টাকাটি হাতে পান, রাজকুমার রাও পরিবারের জন্য সব্জি বাজার করেন আর এক টিন ঘি কিনে আনেন। সে ঘটনাটি তাঁর পরিবারের জন্য ছিল বিলাসিতা। সে দিনের কথা মনে করে বলিউডের অভিনেতা বলছেন, ‘‘আমি আমার প্রথম মাইনেটা খরচ করি পরিবারের জন্য দেশি ঘি আর সব্জি কিনে। সে সময়ে রুটিতে ঘি মাখিয়ে খাওয়া মানে বিশাল ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য।’’
স্বাস্থ্যের জন্যও রুটির উপর ঘি মাখিয়ে খাওয়ার রীতি রয়েছে ভারতের বহু জায়গায়।
রাজকুমার হরিয়ানার ছেলে। ঘিয়ে ভেজানো রুটি হরিয়ানার বাসিন্দাদের কাছে খুব আদরণীয় খাবার। রসনাতৃপ্তি তো বটেই, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও রুটির উপর ঘি মাখিয়ে খাওয়ার রীতি রয়েছে ভারতের বহু জায়গায়। বাঙালির ঘরেও এই প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু কেন ঘিয়ে মাখা রুটি স্বাস্থ্যের জন্য এত ভাল?
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ-তে ভর্তি ঘিয়ের উপকারিতা ঢের। উপরন্তু রুটিতে ঘি মাখালে রুটির গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কমে যায়। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কমে যায়। গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স থেকে বোঝা যায়, প্রত্যেকটি খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলছে। উপরন্তু ঘি মাখালে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তিও থাকে।
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকরের মতে, দিনের যে কোনও খাবারের সঙ্গেই, বিশেষ করে দুপুরের খাবারে ঘি যোগ করা খুব দরকার। এতে শরীরে শক্তিসঞ্চয় হবে, খাওয়ার পর ভাতঘুমের সমস্যা দূর হবে, ত্বক হবে কোমল। পাশাপাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমসারানোর জন্যেও ঘি খুব কার্যকরী। স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, ওজন হ্রাসে সাহায্য করে, হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই ক্ল্যারিফায়ে়ড বাটার ওরফে ঘি।