কম ঘুম বয়ে আনতে পারে বড় অসুখের ঝক্কি। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
রাতে কিছুতেই ঘুম আসে না, যত ঘুম ভোররাতে। বেলা করে ঘুমোনোর উপায় নেই। সকাল হলেই হাজারও কাজের ঝক্কি। এ ভাবেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন? দিনের পর দিন ঘুমের ঘাটতি কিন্তু বড় অসুখের ঝক্কি বয়ে আনতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, প্রতি দিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তা শুধু শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্যই নয়। ঘুমের মধ্যে ঘটে অনেক কিছু, যা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য জরুরি।
ব্রিটেনে পুষ্টিবিদ্যা এবং ডায়াবিটিস-ডায়েট নিয়ে পড়াশোনা করা, মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈন জানাচ্ছেন ঘুম কম হলে কী কী হতে পারে—
প্রদাহ বাড়তে পারে
ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে প্রদাহ বাড়তে পারে। আঘাত আসতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে। এ ক্ষেত্রে নিজের শরীরের বিরুদ্ধেই কাজ করতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে ঘুম ঠিক না হলে। তার কারণ, পরিপাক তন্ত্র এবং শরীরের বাকি প্রত্যঙ্গ এ ক্ষেত্রে সঠিক বিশ্রাম পায় না। ফলে তাদের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়তে পারে। ঘুম কম হলে অপাচ্য খাদ্য থেকে বর্জ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি শ্লথ হয়ে যায়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবিটিস
দিনের পর দিন ঠিকমতো ঘুম না হলে প্রভাব পড়তে পারে হরমোনের ভারসাম্যে। কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনে হরমোনের কার্যকারিতার উপরও প্রভাব পড়তে পারে। কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে ইনসুলিন হরমোন ঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে না। তার প্রভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘুম আসবে কী ভাবে
অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক হয় না। সাধারণত দেখা যায় যাঁরা দিনভর শুয়ে-বসে থাকেন তাঁদের সমস্যা বেশি হয়।
১। সারা দিনে হাঁটাহাটি এবং নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে ঘুমের সমস্যা কমবে।
২। সন্ধ্যার পর থেকে চা-কফি, ধূমপান কমিয়ে ফেলতে হবে।
৩। নৈশ আহার সহজপাচ্য হলে অম্বলের ভয় থাকবে না, ঘুম ভাল হবে।
৪। ঘুমোনোর আগে হালকা আলো জ্বালিয়ে নিন। মোবাইল দূরে রাখুন। হালকা সুর চালিয়ে রাখতে পারেন। ঘরের তাপমাত্রা যেন আরামদায়ক থাকে।