(বাঁ দিকে) চিয়া বীজ ভেজানো জল। গরম জলে মোশানো পাতিলেবুর রস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
চিয়া বীজ নানা দিক থেকে স্বাস্থ্যকর। কারণ ছোট ছোট সাদা-কালো এই বীজের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এছাড়াও থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শে অনেকেই সকালে খালি পেটে চিয়া বীজ ভেজানো জল খেয়ে থাকেন।
আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেকে সকালে খালি পেটে গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করেন। কিন্তু চিয়া বীজের জল এবং পাতিলেবুর রসের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?
চিয়া বীজের জলের উপকারিতা
চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখার পর পানীয়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। থকথকে পানীয়টির মধ্যে একাধিক পুষ্টিগুণ থাকে।
১) চিয়া বীজের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকে। রক্তচাপ এবং শরীরের কোনও প্রদাহ কমাতে এই দুই উপাদান বিশেষ কার্যকরী।
২) চিয়া বীজের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
৩) ১০০ গ্রাম চিয়া বীজের মধ্যে প্রায় ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই অল্প পরিমাণে চিয়া বীজ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে।
৪) চিয়া বীজের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ‘এজিং’ (বয়স বৃদ্ধির হার) রুখতে সাহায্য করে।
পাতিলেবুর জলের উপকারিতা
১) লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি থাকে। তার ফলে পাতিলেবুর রস মেশানো জল খেলে পৌষ্টিকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
২) পাতিলেবুর মধ্যে ফাইবার এবং অ্যাসিড বেশি থাকে, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
৩) পাতিলেবুর মধ্যে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে পাতিলেবুর জল পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তা আবার পরোক্ষে ব্যক্তির হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৪) পাতিলেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।
৫) লেবুর রস দাঁত এবং মাড়ি পরিষ্কার করে মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বিশেষ করে মুখে দুর্গন্ধের ক্ষেত্রে পাতিলেবুর রস উপকারী।
চিয়া বনাম পাতিলেবু
উভয়েরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। যেমন চিয়া বীজ কারও ক্ষেত্রে পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করতে পারে। আবার পাতিলেবুর রস বেশি পরিমাণে খেলে, তা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হতে পারে। চিয়া বীজের জল উচ্চ ফাইবার জাত ডায়েটের অংশ হতে পারে। অন্য দিকে, গরম জলে পাতিলেবুর রস দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চিয়া এবং পাতিলেবুর মধ্যে উভয়েই উপকারী। ব্যক্তি কী ধরনের ডায়েট করতে চাইছেন, তার উপর নির্ভর করে তিনি যে কোনও একটিকে বেছে নিতে পারেন।