Justin Timberlake health update

পোকার কামড়ে জটিল রোগে আক্রান্ত পপ তারকা জাস্টিন টিম্বারলেক! ‘লাইম ডিজ়িজ়’-এর লক্ষণ কী কী?

পোকার কামড় থেকে জটিল ‘লাইম ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন পপ তারকা জাস্টিন টিম্বারলেক। এই রোগ আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

সঙ্গীতশিল্পী জাস্টিন টিম্বারলেক। ছবি: সংগৃহীত।

মার্কিন পপ তারকা জাস্টিন টিম্বারলেক ‘লাইম ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত। সঙ্গীতশিল্পী নিজেই এই খবরটি প্রকাশ করেছেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

৩১ জুলাই তুরস্কে তাঁর সাম্প্রতিক ‘ফরগেট টুমরো’ ওয়ার্ল্ড ট্যুর শেষ করার পর, সমাজমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেন জাস্টিন। সেখানে দীর্ঘ তিন দশকের সঙ্গীতজীবনের পাশাপাশি তিনি যে ‘লাইম ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন ‘সেক্সিব্যাক’ খ্যাত গায়ক। জাস্টিন লেখেন, ‘‘আপনি যদি কখনও এই রোগের শিকার হয়ে থাকেন বা এমন কাউকে চেনেন যিনি এই রোগে ভুগছেন, তা হলে আপনি জানেন, এই রোগ নিয়ে বাঁচা মানে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে একটানা দুর্বিষহ কষ্টের মধ্যে থাকা।’’ একই সঙ্গে জাস্টিন তাঁর রোগের উপসর্গ হিসেবে স্নায়ুর ব্যথা এবং ক্লান্তির কতা উল্লেখ করেছেন।

‘লাইম ডিজিজ়’ কী?

Advertisement

পোকার কামড় থেকে ‘লাইম ডিজ়িজ়’ হতে পারে। নেপথ্যে থাকে বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি ব্যাক্টেরিয়া। আমেরিকার কানেক্টিকাট শহরের লাইম শহরের নামানুসারে এই রোগটির নামকরণ করা হয়েছে। কারণ ১৯৭৬ সালে এই শহরেই শিশুদের মধ্যে প্রথম রোগটিকে শনাক্ত করা হয়। লাইম রোগে আক্রান্ত হলে সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। ভিতর থেকে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে একটানা কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

কী কী লক্ষণ

১) পোকার কামড়ের ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে লাইম ডিজ়িজ়ের লক্ষণ প্রকাশ পায়। শরীরের নিম্নাঙ্গে পোকাগুলি কামড়ায়।

২) কামড়ের জায়গাটি লাল হয়ে যায়।

৩) প্রথমে আক্রান্ত মাথা ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল জ্বর।

৪) লাইম ডিজ়িজ়ের ক্ষেত্রে সারা দেহে, বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা শুরু হয়।

৫) অনেক সময় এই রোগের ফলে আক্রান্তের মুড সুইং হতে পারে। পরিস্থিতি জটিল হলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে।

চিকিৎসা পদ্ধতি

লাইম ডিজ়িজ়ের ক্ষেত্রে শুরুতে অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসা প্রক্রিয়া চলতে পারে ২১ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। তবে এই রোগের চিকিৎসা চলাকালীন ব্যক্তির ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথার উপশমের জন্য চিকিৎসক নিয়মিত ফিজ়িয়োথেরাপির নির্দেশ দিয়ে থাকেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement