অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত সুষম আহার করতে হয়। কিন্তু অনেক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সত্ত্বেও সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। নেপথ্য কারণ ব্যাখ্যা করছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।
সামান্থা ডায়াবেটিক। ২০১৩ সালে বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ ওয়েব সিরিজ় খ্যাত অভিনেত্রী। সুগার নিয়ন্ত্রণে তিনি গ্লুকোজ মনিটর ব্যবহার করেন। পাশাপাশি, নিয়মিত সুষম আহার করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সামান্থা জানান, যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও এক সময় গ্লুকোজ় মনিটরে তিনি বিভিন্ন রকমের রিডিং পেয়েছেন। সামান্থা বলেন, ‘‘আমি যে ধরনের খাবার খাই, তাতে এ রকম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তার পর যখন বুঝতে পারলাম, তখন খাবারের ধরন এবং সময়ে কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে সুফল পাই।’’
সামান্থা জানিয়েছেন, এখন তিনি প্রথমে সব্জি খান। তার পর প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সব শেষে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন। সামান্থার কথায়, ‘‘এতে দেখলাম, ইনসুলিন স্পাইক অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’ নেপথ্যে রয়েছে ‘ফুড সিকুয়েন্সিং’।
‘ফুড সিকুয়েন্সিং’ কী
পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে, সুগার নিয়ন্ত্রণে কে কোন খাবার কখন খাচ্ছেন, তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট— পর পর এই ভাবে খাবার সাজিয়ে নিলে অনেক সময়েই তা হজমে সাহায্য করে। বিশেষ করে সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের অভ্যাস বিশেষ উপকারী।
কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা
সাধারণত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। দিনের বা রাতের খাবার যদি স্যালাড বা সব্জির মাধ্যমে শুরু করা যায়, তা হলে ফাইবার কার্বোহাইড্রেট থেকে গ্লুকোজ় শোষণে সাহায্য করে। ফলে রক্তে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় না।