খেলেই পেট ভার? সমাধানে খাবারে জুড়ে নিন বিশেষ বীজ। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দিনরাত খাওয়া নিয়েই ভাবেন? কিন্তু এটা-ওটা খেতে গিয়েই পেটের সমস্যা হয়। কারও আবার অল্প খেলেই মনে হয় পেট ভরে গেল। তার পর সেই খাবার হজমে রীতিমতো বেগ পেতে হয়।
পেটের সমস্যা কম-বেশি সকলেরই থাকে। আর যাঁদের থাকে, তাঁরা জানেন অনেক সময় গাদা গাদা ওষুধ খেয়েও কাজ হয় না। কখনও আবার সেদ্ধ, অল্প খাবার খেলেও পেট ফেঁপে যায়। এর এক সহজ সমাধান বাতলে দিলেন এমস এবং হার্ভার্ডে প্রশিক্ষিত নেটপ্রভাবী পেটের চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি।
তিনি জানাচ্ছেন, প্রায় প্রতি ঘরেই থাকে খুব সাধারণ একটি বীজ যদি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় স্বল্প পরিমাণে জোড়া যায়, তা হলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। জিনিসটি আর কিছুই নয়, ভিটামিন, খনিজে ভরপুর সাদা তিল। এটি শুধু পেটফাঁপা বা বদহজমের প্রবণতাই কমায় না, ফ্যাট শোষণেও সাহায্য করে।
১০০ গ্রাম তিলের পু্ষ্টিগুণ
প্রোটিন ৩ গ্রাম
ফ্যাট ৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪ গ্রাম
ফাইবার ২ গ্রাম
এ ছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাঙ্গানিজ়, আয়রন, জ়িঙ্ক।
তিল কী ভাবে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে?
তিল খাওয়ার চল নতুন নয়। তিল কাঠি, তিল চাকতি, তিলের নাড়ু, খাজা, তিল বাটা— নানা ভাবেই তিল খাওয়ার চল রয়েছে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার পিত্তরসে উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাইল বা পিত্তরস খাবার পরিপাকের জরুরি উপাদান। এটি খাবারকে ভেঙে তা পাচিত করতে সাহায্য করে।বাইল বা পিত্তরস ঠিকমতো উৎপাদন না হলে বা তার মাত্রা কমে গেলেই হজমের গোলমাল হয়, পেটভার লাগে।
শুধু তাই নয়, তিল হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।এই বীজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
তিল খাওয়ার উপকারিতা
• পিত্তরস তৈরিতে সাহায্য করে
• শরীরে ফ্যাট শোষণে সহায়তা করে
• খাওয়ার পরে পেটভারের প্রবণতা কমায়
• পেটের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয়
সৌরভ শেট্টির কথায়, যে হেতু তিল ফ্যাট হজম এবং শোষণে সাহায্য করে, তাই ডায়েটে এই বীজটি রাখলে খাওয়ার পরে পেট ভার লাগে না। অনেক সময় খাবারের ফ্যাট অংশটাই পরিপাকে সমস্যা হয়। তার সমাধান হতে পারে এই ভাবেই।
কী ভাবে খাবেন?
• স্যালাডের উপর কাঁচা বা হালকা রোস্ট করা তিল ছড়িয়ে খেতে পারেন।
• আবার সাদা তিল, অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে বেটে তাহিনি সস্ হিসাবে খেলেও উপকারিতা মেলে।
• শাকসব্জির উপরেও তিল ছড়িয়ে নিলে খাবারের স্বাদ বাড়বে, বৃদ্ধি পাবে পুষ্টিগুণ।