কফিতে কেন দারচিনি মেশান তমন্না? ছবি: সংগৃহীত।
দিন দিন যেন আরও তন্বী হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়া। বড় পর্দায় নায়িকাকে দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। তবে এর জন্য জিমে গিয়ে করতে হয়েছে অনেকটা পরিশ্রম। সঙ্গে বদলাতে হয়েছে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিয়ম করে তিনি বিশেষ এক ধরনের কফি খান।
তমান্নার কফিতেই কি লুকিয়ে আছে ফিট থাকার রহস্য? অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কালো কফি খাই। কফির বিষয়ে আমি বেশ খুঁতখুঁতে। আমার নিজস্ব কফি রেসিপি আছে। যার নাম ড্রাই ক্যাপুচিনো। এতে দু’টি এক্সপ্রেসো শটের সঙ্গে থাকে আমন্ড দুধের ফেনা আর দারচিনির গুঁড়ো।’’
কফিতে দারচিনি মেশালে কী লাভ হয়?
‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এর তথ্য বলছে, দুধ-চিনি ছাড়া কালো কফিতে দেড় গ্রামের মতো দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনই ওজনও কমবে। প্রতি দিন নিয়ম করে দারচিনি মেশানো কফি খেলে কোমরের পরিধিও কমবে বলে দাবি গবেষকদের।
দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, খিদে কমায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দারচিনি দেওয়া কফি খুব ভাল ডিটক্স পানীয়ের কাজ করতে পারে। এটি নিয়মিত খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে। ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্যও এই পানীয় বেশ উপকারী। সারা দিনের খাবার থেকে যে পরিমাণ টক্সিন বা দূষিত পদার্থ শরীরে জমা হয়, তা ছেঁকে বার করে দিতে পারে দারচিনি। ফলে ঝরঝরে এবং চাঙ্গা হয় শরীর। শরীরচর্চার পরেও খেতে পারেন দারচিনি দেওয়া কফি। তাতেও উপকার হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে সঠিক প্রজাতির দারচিনি ব্যবহার করতে হবে। বাজারে মূলত দু’ধরনের দারচিনি কিনতে পাওয়া যায়, সেলন আর ক্যাসিয়া। সেলন প্রজাতির দারচিনির মান বেশি ভাল হয়। দারচিনিতে কমারিন নামক একটি যৌগ পাওয়া যায়, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ক্যাসিয়াতে কমারিনের মাত্রা বেশি থাকে। সেলন দারচিনির স্বাদ মিষ্টি মিষ্টি হয়, এর রং সাধারণত হালকা বাদামি হয়ে থাকে। অন্য দিকে, কাসিয়া দারচিনির স্বাদ একটু ঝাল হয়, এর রংও গাঢ় হয়। সেলনের দাম কাসিয়ার তুলনায় অনেকটাই বেশি। সেলন প্রজাতির দারচিনি বেশি স্বাস্থ্যকর।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। যাঁদের ক্রনিক অসুখ রয়েছে তাঁরা ডায়েটে বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক আর পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।