Pregnancy

নারীদের সন্তানধারণ ক্ষমতা কি বয়সের সঙ্গে কমে? দেরিতে মা হলে করাতে হবে কোন কোন পরীক্ষা?

বিভিন্ন কারণে এখন বহু নারীই পঁয়ত্রিশ বছরের পর প্রথম বার মা হতে চলেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু কিছু পরীক্ষা করিয়ে নিলেই অনেক বেশি নিরাপদে থাকতে পারেন হবু মা ও সন্তান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৯:২৮
Share:

হবু মায়ের যত্ন। —ফাইল চিত্র

চিকিৎসাবিজ্ঞান জানায়, যৌবনে পা দেওয়ার পর থেকে ঋতুবন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত যে কোনও সময়েই মা হওয়া সম্ভব। কিন্তু পঁয়ত্রিশ বা তারও বেশি বয়সে সন্তান ধারণ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় হবু মা ও গর্ভস্থ শিশু, দু’জনেরই নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তবে তার মানে এই নয়, বেশি বয়সে মা হলেই সমস্যা হবে শিশুর। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, প্রথম বার মা হতে চাইলে পঁচিশ থেকে তিরিশ বছরের মধ্যে সন্তান ধারণ করাই ভাল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখন বহু নারীই পঁয়ত্রিশ বছরের পর প্রথম বার মা হতে চলেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু কিছু পরীক্ষা করিয়ে নিলেই অনেক বেশি নিরাপদে থাকতে পারেন হবু মা ও সন্তান।

Advertisement

চিকিৎসকই বন্ধু

সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ‘প্রি প্রেগনেন্সি কাউন্সেলিং’ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে অনেকটাই কমে জটিলতার ঝুঁকি। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বাড়তি সাবধানতা নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ফলিক অ্যাসিড ও অন্য ওষুধ খেতে হবে।

Advertisement

থাইরয়েড পরীক্ষা

থাইরয়েডের অসুবিধে থাকলেও অনেক সময়ে ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। টি-থ্রি, টি-ফোর, টিএসএইচ টেস্ট করিয়ে স্বভাবিক ফল পেলেও অনেক সময়ে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের কারণেই গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি-টিজি অ্যান্টিবডি ও টিপিও পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া দরকার।

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বাড়তি সাবধানতা নেওয়া উচিত। প্রতীকী ছবি

হার্টের পরীক্ষা

সম্প্রতি ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন’-এর একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সন্তান ধারণের আগে হবু মায়ের হৃদ্‌যন্ত্র পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। ফিটাল মেডিসিনের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভ্রূণের ১৮-২০ সপ্তাহ বয়সে ফিটাল আলট্রা সাউন্ডের সাহায্যে ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডের বেশ পরিষ্কার ছবি পাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবিটিসে

হবু মায়ের ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে সাধারণ ‘সুগার’ পরীক্ষা অর্থাৎ ফাস্টিং বা পিপি সুগার টেস্ট করিয়ে ধরা না-ও যেতে পারে। চিকিৎসক পরামর্শ দিলে করাতে হবে এইচবিএ১সি ও গ্লুকোজ টলারেন্স পরীক্ষাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন