ডেঙ্গি না চিকুনগুনিয়া বোঝার উপায় কী, কোন টেস্ট করাতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
চিকুনগুনিয়া নিয়ে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে। কিছু দিন আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাবধান করা বলা হয়েছিল, ডেঙ্গির মতোই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও। ভয়ের কারণ একটাই, ডেঙ্গির মতো চিকুনগুনিয়ার জন্যও দায়ী এডিস ইজিপ্টাই মশা। একই মশা দুই ভাইরাসের জীবাণু বহন করতে পারে। তাই রোগটি ডেঙ্গি না চিকুনগুনিয়া, তা বোঝা খুব জরুরি। ডেঙ্গিতেও গা, হাত-পায়ে ব্যথা হয়, তবে চিকুনগুনিয়ায় ভয় আরও বেশি। সে ক্ষেত্রে অস্থিসন্ধিগুলিতে মারাত্মক প্রদাহ হয় ও শরীরের গ্রন্থিগুলি ফুলে ওঠে।
চিকুনগুনিয়ার কী কী লক্ষণ চেনা জরুরি?
ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়া দুই ক্ষেত্রেই জ্বর ঘুরেফিরে আসবে, সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা হবে। ডেঙ্গিতে চোখের পিছনে ব্যথা, গায়ে র্যাশ হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয়—
১) গাঁটে গাঁটে তীব্র ব্যথা, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হবে।
২) হাঁটু ও শরীরের অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা হবে। অস্থিসন্ধি ও তার আশপাশের এলাকা ফুলে উঠবে। রোগ সেরে যাওয়ার পরে এই ব্যথা কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস ধরেও থাকতে পারে।
৩) জ্বর আসার পরে গায়ে, হাতে-পায়ে ফুস্কুড়ি বেরোবে। ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাবে।
৪) ডেঙ্গির তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কম, তবে এই ভাইরাস শরীরে ঢুকলে শরীরের গ্রন্থিগুলি ফুলে উঠবে। রোগীর চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।
কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে?
এই বিষয়ে সংক্রামক রোগ বিষয়ক চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, ডেঙ্গিতে এনএস১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হয়। আর চিকুনগুনিয়ায় আইজিএম ও আইজিজি অ্যান্টিবডি টেস্ট করা জরুরি। চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসই শরীরে ঢুকেছে কি না, তা শনাক্ত করতে পিসিআর টেস্টও করা হয়।
জ্বর আসার প্রথম তিন দিনের পর এনএস১ টেস্ট ও চিকুনগুনিয়ার জন্য পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। জ্বর সাত দিনের বেশি থাকলে, আইজিএম বা আইজিজি পরীক্ষা করাতেই হবে। জ্বর এলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।