দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার ফলে হাতে ব্যথা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
হাতের আঙুল বা কব্জিতে কোনও চোট লাগেনি। অথচ মাঝেমধ্যেই ব্যথা হচ্ছে। তার জন্য দায়ী হতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্ক্রিন টাইম যেমন চোখের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার হাতের ব্যথার কারণ হতে পারে।
কেন ব্যথা
পাবমেড জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যবেক্ষণে দাবি করা হয়েছে, মোবাইল ব্যবহারের সময় এবং কী ভাবে তা ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে— এই দুটি জিনিস মূলত ব্যথার কারণ। অন্য দিকে ইয়েল মেডিসিন জার্নালে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ সময় মোবাইল ধরা এবং টাইপ করা বা স্ক্রল করার ফলে আঙুল এবং কব্জিতে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘ দিন এই অভ্যাসে অস্থিসন্ধিতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং তার ফলে ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু শুরুতে বিষয়টা অনেকেই বুঝতে পারেন না। তবে সময়ে সতর্ক হলে এবং কয়েকটি নিয়ম মানলে সমস্যার ঝুঁকি কমতে পারে।
১) সামনের দিকে হাত এগিয়ে দিতে হবে। অন্য হাত দিয়ে এক হাতের কব্জি থেকে বিপরীত দিকে বেঁকানোর চেষ্টা করতে হবে। তার ফলে হাত ও কব্জির সংযোগস্থলে টান সৃষ্টি হবে। ২০-২৩ সেকেন্ড করে ওই অবস্থানে হাত ধরে রাখতে হবে। প্রত্যেক হাতে ২-৩ বার করতে হবে।
২) হাত খোলা রেখে বুড়ো আঙুল দিয়ে হাতের বাকি আঙুলগুলিকে ক্রমান্বয়ে ছুঁতে হবে। ৫-১০ বার করে ব্যায়ামটি করতে হবে।
৩) টেবিলের উপরে দুই হাত রেখে শুরু করতে হবে। নখের দিকটি যেন উপরের দিকে থাকে। তার পর ধীরে ধীরে মুঠো বন্ধ করতে হবে। তার পর আবার মুঠো খুলে আঙুলগুলি সোজা করতে হবে। দুটো হাতে এক সঙ্গে ৮-১০ বার ব্যায়ামটি করতে হবে।
৪) দেহের দু’পাশে বা টেবিলে হাত রেখে ঝাঁকাতে হবে। ভঙ্গিটি এমন হবে যেন হাত থেকে জল বা কোনও ধুলো ঝাড়া হচ্ছে। এক টানা ১০-১৫ সেকেন্ড ঝাঁকানোর পর বিশ্রাম নিতে হবে। ব্যায়ামটি ৪-৫ বার করা উচিত।
৫) দেহের দু’পাশে বা টেবিলে হাত রেখে আঙুলগুলিকে পরস্পরের থেকে দূরে টানটান করে ঠেলার চেষ্টা করতে হবে। তার পর ওই অবস্থানে ৫ সেকেন্ড আঙুলগুলিকে রাখতে হবে। দু’হাতে ১০ বার করে ব্যায়ামটি করা উচিত।