বয়স্করা কী ধরনের ব্যায়াম করলে বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময়ে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। বাতের ব্যথা থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। তা ছাড়া এই সময়ে শরীরচর্চা করাতেও অনীহা দেখা যায় অনেকের। হাঁটাহাঁটিও কম হয়। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। বয়স্করা বিশেষ করে এই সময়টাতে অনেক বেশি জবুথবু হয়ে থাকেন। অথচ যোগাসন প্রশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, বয়সকালেও এমন কিছু ব্যায়াম করা যায়, যা নিয়মিত করলে শরীর সতেজ ও সক্রিয় থাকবে। বাতজনিত ব্যথা কমবে।
কী ধরনের ব্যায়াম করা যাবে?
বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলিকে দূরে রাখতে তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে— শরীরচর্চা, ডায়েট ও মানসিক স্বাস্থ্য। চল্লিশের পর থেকেই হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে একটু একটু করে। যাঁরা সারা দিন বসে কাজ করেন অথবা যাঁদের কায়িক শ্রম একেবারেই হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি। বিশেষ করে, অবসরের পরে আলস্য আরও বেড়ে যায়। তখন শুয়েবসেই বেশির ভাগ সময় কাটান অনেকে। এই সময়েই নিয়ম করে পায়ের জন্য স্কোয়াট, স্টেপ আপের মতো ব্যায়াম করতে হবে। যদি হার্টের সমস্যা না থাকে, তা হলে পুশ আপ, কম ওজনের ডাম্বেল নিয়ে শোল্ডার প্রেস করা যেতে পারে।
যদি আর্থ্রাইটিস থাকে, তা হলে বেশি হাঁটলে আবার উল্টো ফল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ১৫-২০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন। চেষ্টা করুন ২ মিনিট জোরে এবং ১ মিনিট আস্তে হাঁটতে।
বয়স্কদের জন্য আরও একটা সহজ ব্যায়াম হল, লেগ লিফ্ট। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রথমে বাঁ পা যতটা সম্ভব তুলুন। তার পর নামিয়ে নিয়ে ডান পা তুলুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এই ভাবে পর্যায়ক্রমে দুই পা ওঠাতে ও নামাতে হবে। ১০ বার করে তিন সেটে করা যাবে এই ব্যায়াম।
ফুসফুসের জোর বাড়াতে শ্বাসের ব্যায়াম করা খুব জরুরি। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত দেহের দু’পাশে রাখুন। চোখ বন্ধ করে দু’হাত ধীরে ধীরে মাথার উপরে তুলুন। হাত তোলার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। আবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দু’হাত নামিয়ে আনুন। এ ভাবে অভ্যাস করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।