গ্যাস-অম্বলে আরাম দেবে দই দিয়ে তৈরি এই খাবার, বদহজমের সমস্যাও কমবে। ছবি: ফ্রিপিক।
ভারী খাওয়াদাওয়া করেই ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লেন! এ দিকে, চোখ বোজার কিছু ক্ষণ পরেই শুরু হল অস্বস্তি। আইঢাই ভাব। কী করবেন বুঝতে না পেরে কয়েক ঢোঁক জল খেলেন হয়তো। কিন্তু লাভ হল না তাতে। বরং বুকজ্বালা করা, চোঁয়া ঢেকুরের অত্যাচার শুরু হল! ‘জিইআরডি’ অর্থাৎ, ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ’ থাকলে এই ধরনের সমস্যা হয়। এটি হল একটি হজমের ব্যাধি। মুখ ও খাদ্যনালির সংযোগস্থলকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ইসোফেগাস, আর যখন পাকস্থলীর খাদ্যবস্তু ইসোফেগাসে ফিরে আসে তখন তাকে বলে ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়িজ়’। এটি থাকলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়।
ভারী খাবার খাওয়ার অব্যবহিত পরেই শুয়ে পড়লেও অনেক সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অনেক সময়ে হাইটাল হার্নিয়ার কারণেও জিইআরডি হতে পারে।
ঘন ঘন অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্য়া ভোগালে তখন হালকা খাবার খেলেও গলা-বুকজ্বালা হবে। সামান্য ভাজাভুজিতেও পেটে জ্বালা হবে। এই সমস্যা থাকলে দই খেলে উপকার হবে। তবে টক দই সরাসরি নয়, কী ভাবে খেলে উপকার হবে জেনে নিন।
দইয়ের রায়তা
এক কাপ দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তাতে শসা কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও কয়েকটি পুদিনা পাতা মিশিয়ে দিতে হবে। এর পরে শুকনো কড়াইতে গোটা জিড়ে কম আঁচে ভেজে তা গুঁড়িয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন। দুপুরে খাওয়ার পরে দইয়ের রায়তা খেলে অম্বল হবে না।
দইয়ের স্মুদি
দুপুরে খাওয়ার পরে বিকেলের দিকে যখন খিদে পাবে তখন ভাজাভুজি না খেয়ে খেতে পারেন দইয়ের স্মুদি। এক কাপ দইয়ে একটি কলা, এক চা চামচ মধু ও সামান্য দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। স্মুদি তৈরি হয়ে গেলে উপরে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিন। এই স্মুদি খেলে বদহজমের সমস্যা কমে যাবে।