মস্তিষ্কের সহজ কিছু ব্যায়াম ও খেলায় শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দিনরাত দৌড়ে বেড়ায়। পড়াশোনায় মন নেই। শিশুর দস্যিপনা সামলাতে গিয়ে নাজেহাল পরিবারের সকালে। শিশুদের মন এমনিতেও খুব চঞ্চল। এক জায়গায় বেশি ক্ষণ স্থির হয়ে বসেই না। পড়তে বসালে টিভির দিকে মন পড়ে থাকে। বার বার উঠে চলে যায়। তা সে পড়াশোনা হোক, খেলা, গানবাজনা বা ছবি আঁকা। বসিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। যদি বা বসল, কিছু ক্ষণ পর পরই বিভিন্ন অজুহাতে উঠে যাবে। বেশি বকাঝকা করলে চিৎকার, কান্নাকাটি শুরু হবে। শিশুর মনোযোগ কী ভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই মা-বাবার। কিন্তু বেড়ে ওঠার এই পর্যায়ে খেলার ছলেই তাদের বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটানো যায়। মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করা যায়।
মস্তিষ্কের সহজ কিছু ব্যায়ামে শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশ হবে
গল্প বলার খেলা
প্রথমে অভিভাবকেরা একটি গল্প শুরু করুন। শুরুতে কয়েকটি বাক্য বলার পরে শিশুকে গল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে বলুন। আরও কয়েকটি বাক্য জুড়তে বলুন। এই ভাবে শিশু নতুন নতুন শব্দচয়ন করা যেমন শিখবে, তেমনই কল্পনাশক্তিরও বিকাশ হবে। ভাষার উপর দখল বাড়বে, সৃজনশীলতারও বিকাশ হবে।
ক্রস ক্রল
এটি ব্যায়ামের একটি পদ্ধতি। শিশুকে বলুন ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটু স্পর্শ করতে, আবার একই ভাবে বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের হাঁটু স্পর্শ করবে। পর্যায়ক্রমে এই পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে। এই ব্যায়ামটি মস্তিষ্কের কোষগুলির সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এতে মনঃসংযোগ বাড়বে, স্মৃতিশক্তি আরও উন্নত হবে।
মননশীল খেলা
বিভিন্ন রকম আকার ম্যাচ করতে দেওয়া, জিগস পাজ়ল, দাবা খেলা শিশুদের ধীরে চলার শিক্ষা দেয়। ম্যাচ করতে গেলে ভাবতে হয়, মন দিতে হয়। এতেই তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। একই সঙ্গে পাজ়ল সমাধান করার আনন্দ, তাদের আবার এই ধরনের খেলায় উৎসাহ জোগায়।
কাউন্টিং ব্যাকওয়ার্ড
শিশুকে ১ থেকে ১০০ অবধি গুনতে বলুন। তার পর ১০০ থেকে ১ অবধি পিছন দিকে গুনতে বলুন। শুরুতে হোঁচট খাবে, তবে পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। এই সহজ খেলা বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে, মনঃসংযোগও বৃদ্ধি করবে। স্থির হয়ে বসে ভাবনাচিন্তা করতে পারবে শিশু।
বৃক্ষাসন
সহজ কিছু যোগাসনেও মনঃসংযোগ বৃদ্ধি হবে। তার মধ্যে একটি বৃক্ষাসন। এর পদ্ধতি সহজ, শিশুরা করতে পারবে। প্রথমে সোজা হয়ে দাড়িয়ে দু'টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনতে হবে। তার পর শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে ডান হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাম ঊরুর উপর আনতে হবে। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার উপর তুলতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আবার পা বদলে একই ভাবে আসনটি করতে হবে।