স্মৃতিশক্তি বাড়বে ৩০ দিনে, কী কী করতে হবে? ফাইল চিত্র।
মগজাস্ত্রে কি মরচে পড়ছে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মন যা চাইছে, তা-ই এসে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। মাথা ঘামানোর আর বিশেষ প্রয়োজন পড়ছে না। ঝটপট জটিল অঙ্ক কষে ফেলা হোক বা জরুরি কাজ মনে রাখা,যন্ত্রের উপর ভরসা যত বাড়ছে, ততই ধুলো জমছে মস্তিষ্কে। এ দিকে বাড়ির কোনও দায়িত্বই হোক বা নিজের যাবতীয় কাজ কিংবা প্রিয়জনকে দেওয়া কথা রাখা— সব কিছুর জন্যই মনে রাখাটা একটা বিষয় বইকি। ভুলে গিয়ে কথা না রাখতে পারার সমস্যা বা ভুলের জন্য কাজের ক্ষতি— কে-ই বা এ সব পোহাতে চায়! এক সময় ধারণা ছিল, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতির দৌড়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপ সে তথ্যকে কেবল বইয়ের পাতায় আটকে রেখেছে।
ভুলে যাওয়ার জন্য তাই আজ আর কোনও বয়স হয় না। টুকটাক দোকান-বাজার থেকে কিছু আনার তালিকাই হোক বা দরকারি কোনও জিনিস কোথায় রাখলেন, তার খোঁজ— যে কোনও কাজেই কিন্তু মাথা খাটানোই দস্তুর। শিশুদের ক্ষুরধার বুদ্ধি চাইলে, কেবল ‘ব্রেন গেম‘ খেলে লাভ হবে না। তার জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম। মস্তিষ্ককে সচল রাখারও ব্যায়াম আছে। প্রশিক্ষকের পরামর্শে সে সব অভ্যাস করতে পারলে, বুদ্ধিতে শান তো পড়বেই, স্মৃতির ভাঁড়ারও মজবুত হবে।
পশ্চিমোত্তাসন
মেরুদণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য আদর্শ ব্যায়াম। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন ‘সিটেড ফরোয়ার্ড বেন্ড’। প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত মাথার দু’পাশে রাখতে হবে। তার পর শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয়ে জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরতে হবে। দু’পায়ের মাঝে মাটিতে ঠেকাতে হবে কপাল। বুক ও পেট ঠেকবে ঊরুতে। ছোটরাও নিয়মিত অভ্যাস করতে পারে এই যোগাসন।
বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজের দু'টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের ডান হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাম ঊরুর উপর আনুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমান ভবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন।
সর্বাঙ্গাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। এক দিনে শরীরের ভারসাম্য আসবে না। নিয়মিত অভ্যাসে ধীরে ধীরে রপ্ত হবে এই ব্যায়াম।