সন্তানের মেধা বাড়বে, পড়াও মনে থাকবে, ৩ আসনে সম্ভব। ছবি: ফ্রিপিক।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মন যা চাইছে, তা-ই এসে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। মাথা ঘামানোর আর বিশেষ প্রয়োজন পড়ছে না। ঝটপট জটিল অঙ্ক কষে ফেলা হোক বা জরুরি কাজ মনে রাখা,যন্ত্রের উপর ভরসা যত বাড়ছে, ততই ধুলো জমছে মস্তিষ্কে। সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক, সব বাবা-মাই তা চান। তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তার মগজাস্ত্রেও শান দেওয়াও প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ হয়। এই বয়স থেকেই তাই সুষম ডায়েটের দিকে যেমন নজর দিতে হবে, তেমনই শরীরচর্চায় আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে খুদের।
কোন কোন আসনে সন্তানের বুদ্ধি বাড়বে?
বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাড়িয়ে নিজের দু'টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনতে হবে। তার পর শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে ডান হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতাটি বাম ঊরুর উপর রাখতে হবে। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার উপর নিয়ে যেতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে।
বালাসন বা চাইল্ড পোজ়
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসতে হবে। তার পর কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে হেলিয়ে দিতে হবে। শরীরটা এমন ভাবে ঝোঁকাতে হবে, যাতে বুক ঊরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা ম্যাটের উপরে ঠেকিয়ে হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে দিতে হবে। শ্বাস স্বাভাবিক রেখে ওই ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে। এই আসন অন্তত তিন সেট করতে হবে।
উত্তনাসন বা স্ট্যান্ডিং ফরোয়ার্ড ফোল্ড
ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। কোমর, পিঠ থাকবে টান টান। এ বার কোমর থেকে শরীর ঝুঁকিয়ে দুই হাতের তালু দিয়ে মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। তবে হাঁটু ভাঙলে হবে না। শরীরচর্চা করার অভ্যাস না থাকলে খুব বেশি ক্ষণ এই অবস্থান ধরে রাখা যাবে না। তবে রোজের অভ্যাসে আয়ত্ত হবে। মোটামুটি ১০ সেকেন্ড মতো থেকে আবার প্রথম অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।