What is Walking Yoga

‘ওয়াকিং যোগ’ কী? হাঁটতে হাঁটতে যোগাসন করা, না কি যোগাসন করতে করতে হাঁটা?

হাঁটাহাটি কিংবা যোগাসনে শরীর, মন দুই-ই ভাল থাকে। তবে দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি ‘ওয়াকিং যোগ’ অভ্যাস করলে তার প্রভাব অনেকটা বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪১
Share:

হাঁটতে হাঁটতে যোগাসন করলে কী উপকার হবে? ছবি: সংগৃহীত।

শরীরচর্চা নিয়ে নানা জনের নানা মত। কারও কাছে যোগাসন ভাল, আবার কেউ জিম-প্রেমে অন্ধ। শিশু, বয়স্কদের জন্য হাঁটাহাটি, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার নিরাপদ। খেলাধুলো করলেও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল থাকে। প্রতিটি মাধ্যমের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। বয়স এবং শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী তা বেছে নিতে হয়। স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত সচেতন যাঁরা, তাঁরা আবার ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ করে শরীরচর্চা করেন। বিষয়টা ঠিক বোঝা গেল না তো?

Advertisement

ধরুন, সপ্তাহে পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে। অতএব তিন দিন সাঁতার আর দু’দিন যোগাসন। আবার, দু’দিন জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালেন আর তিন দিন সাইকেল চালালেন, এমনটাও হতে পারে। কিন্তু সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে আর হাঁটতে যেতে ইচ্ছে না করে কিংবা ধরে ধরে যোগাসনে সব ভঙ্গি অভ্যাস করতে না পারেন, তা হলে কী করবেন? সে ক্ষেত্রে দিন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মাধ্যম বেছে না নিয়ে ‘ওয়াকিং যোগ’ করা যেতে পারে। মানে হাঁটতে হাঁটতে যোগাসন করতে হবে? না কি যোগাসন করতে করতে হাঁটতে হবে? তাতে কী লাভ হবে?

যোগাসন এবং হাঁটার অভ্যাস— এই দু’য়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এই ‘ওয়াকিং যোগ’। হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য ভাল। যোগাসনেরও নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে। তবে শুধু হাঁটলে কিংবা শুধু যোগাসন করলে বিশেষ লাভ হবে না। হাঁটার উপকারিতা কয়েক গুণে বাড়িয়ে তুলতে পারে যোগাসন। যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, ম্যাটে বসে শুধু যোগাসন কিংবা সময় কাটানো বা হালকা চলে এক চক্কর না হেঁটে, ওয়াকিং যোগ অভ্যাস করতে পারেন। তাতে আসলে দুয়ের ফল একসঙ্গে পাওয়া যায়।

Advertisement

নিয়মিত ‘ওয়াকিং যোগ’ করলে আর কী উপকার হবে?

বয়স্কদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত সকাল-বিকেল পার্কে হাঁটতে যান। কিন্তু মন দিয়ে হাঁটেন না। শরীরের গঠনভঙ্গিও যেমনটা থাকা উচিত তেমনটা থখাকে না সব সময়ে। ফলে শরীরে তার বিশেষ প্রভাব দেখা যায় না। কিন্তু ওয়াকিং যোগ সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে দেয়। টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে বা পিঠ, কাঁধ সোজা রেখে, পেটের পেশি টান টান করে খানিকটা হাঁটাচলা করলে তবেই উপকার মেলে। তাতে দেহের ভারসাম্য ধরে রাখার কাজটিও সহজ হয়। অন্য দিকে, সারা দিনে ক্লান্তি, মানসিক চাপ, উদ্বেগ কিংবা অবসাদ নিয়ে ঘরে বসে যোগাসন করার মতো মানসিক অবস্থাও থাকে না সকলের। বলা ভাল ইচ্ছে করে না। সে ক্ষেত্রে শরীর এবং মনের যত্ন নেওয়ার খুব ভাল পন্থা হতে পারে এই ‘ওয়াকিং যোগ’। মাথা থেকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করতেও এই পন্থা সহায়তা করে। ফলে শারীরিক এবং মানসিক, দু’ভাবেই সক্রিয় থাকা যায়।

তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, ‘ওয়াকিং যোগা’-র অনেক গুণ থাকলেও তা সকলের পক্ষে উপযুক্ত নয়। তুলনায় কমবয়সি যাঁরা, তাঁদের চোখে এই পন্থাটি বেশ মন্থর। আবার যাঁরা নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে অভ্যস্ত কিংবা জিমে যান, তাঁদের জন্যও এটি খুব একটা লাভদায়ক নয়।

কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে কী ধরনের যোগাসন অভ্যাস করা যায়?

পার্কে দু’রাউন্ড হেঁটে এসে তার পর বৃক্ষাসন কিংবা তাড়াসন অভ্যাস করা যেতে পারে। হাঁটতে হাঁটতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া-ছাড়া, কাঁধ কিংবা হাতের ব্যায়ামও করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement