প্রাতরাশে কোন কোন ড্রাই ফ্রুট ও ফল এড়িয়ে চলবেন, রইল তালিকা। ছবি: ফ্রিপিক।
ওজন কমাতে সকালের জলখাবারে লুচি-পরোটা বা পাউরুটি বাতিল করে দিয়েছেন অনেকেই। সে জায়গায় ডালিয়া, ওট্স বা নানা রকমের ফল, ড্রাই ফ্রুট্স খাওয়ার চল হয়েছে। মরসুমি যে কোনও ফলই ফাইবার সমৃদ্ধ। ড্রাই ফ্রুট্সেরও উপকারিতা রয়েছে। তবে এমন কিছু পছন্দের ফল ও ড্রাই ফ্রুট্ রয়েছে যেগুলি সকালের জলখাবারে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। রোজ খেতে থাকলে ওজন তো কমবেই না, উল্টে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে।
প্রাতরাশে কোন কোন ড্রাই ফ্রুট ও ফল এড়িয়ে চলবেন, রইল তালিকা।
যে সব ফল এড়িয়ে চলা উচিত
পাকা আম ও কাঁঠাল
এই দুটি ফলে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) তুলনামূলক ভাবে বেশি। সকালে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কলা
সকালের জলখাবারে কলা খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়। খুব বেশি পাকা কলায় শর্করার মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে থাকে। বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য যা একেবারেই ঠিক নয়। তবে, সঠিক পরিমাণে কলা খেলে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শক্তি যোগাতে এবং হজমে সাহায্য করে।
আনারস
আনারসেও শর্করার মাত্রা বেশি থাকে। প্রি-ডায়াবেটিক ও যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁদের সকালে আনারস না খাওয়াই ভাল।
তরমুজ ও লিচু
তরমুজ, লিচুর মতো ফল একসঙ্গে বেশি খেলে হজমের স যেমন গ্যাস, বদহজম, বা অম্বল হতে পারে। তরমুজ খুব দ্রুত হজম হয়, কারণ এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। অন্য দিকে, লিচু হজম হতে সময় লাগে। অনেকেই ফ্রুট স্যালাডে নানা রকম ফল মিশিয়ে খান। তাই খেয়াল রাখতে হবে,কিছু ফল একসঙ্গে না খাওয়াই ভাল।
কোন কোন ড্রাই ফ্রুট্ জলখাবারে খাবেন না
১) কিশমিশ সকালের জলখাবারে না খাওয়াই ভাল। এতে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে।
২) শুকনো ডুমুর উপকারী হলেও সকালে না খাওয়াই ভাল। এতে শর্করার মাত্রা বেশি, ফাইবারও বেশি পরিমাণে থাকে। ফলে হজম হতে সময় লাগে। সকালে খেলে রক্তে শর্করা বাড়তে পারে, পাশাপাশি বদহজম হতে পারে।
৩) অ্যাপ্রিকট খেতে সুস্বাদু হলেও সকালে খাবেন না। এটি বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়বে, রক্তচাপ আচমকা বেড়ে যাবে পারে। দুটি মিলের মাঝে খেলে সমস্যা কম হবে।
৪) যে সব ফলে সালফারের মাত্রা বেশি সেগুলি সকালে না খাওয়াই ভাল। যেমন কিউই। এই ফল সকালে খেলে শরীরে টক্সিন জমতে পারে।
৫) খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি এবং ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে, যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।