Mango For Diabetics

খালি পেটে আম খেতে নেই কেন? খাওয়ার আগে আর কী খেয়াল রাখা জরুরি?

আম নিয়ে বাঙালির আহ্লাদের শেষ নেই। তবে ডায়াবিটিসের ভয়ও তো আছে। আমের মরসুম তো চলে যাবে। কিন্তু সারা বছরের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৮:৪৩
Share:

আম বাঙালির প্রিয় ফল। কিন্তু তা খাওয়া কি আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল? ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষাকাল এসে গিয়েছে। কিন্তু আমের মরসুম তো চলে যায়নি। ল্যাংড়া, ফ়জলি, চৌসা, বেগমফুলি, খুঁজলে দু’-একটি দোকানে হিমসাগর এখন পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা আমের চাটনি থেকে শুরু করে আমের মোরব্বা, আম দেখলে বাঙালির আহ্লাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে ভালবাসলেও শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই আম খেতে ভয় পান। অনেকেই বলেন, মরসুমি ফল পরিমিত পরিমাণে খেলে শারীরিক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পুষ্টিবিদেরাও এ বিষয়ে সহমত। তবে তাঁদের মতে, কোনও ফল খাওয়ার পরিমাণ, কী ভাবে খাচ্ছেন এবং সময়ের উপর নির্ভর করছে, শরীরে তার কেমন পড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখেও আম খাওয়া যায়। তার জন্য মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি টোটকা।

Advertisement

১) রস না করাই ভাল

আমের সঙ্গে দই বা দুধ মিশিয়ে ‘শেক’ বা ‘স্মুদি’ না খাওয়াই ভাল। রাস্তার ধারে ফলের রস বিক্রি করে এমন দোকান থেকে চিনি দেওয়া রস খাওয়া যাবে না। এ ছাড়াও সুবিধার জন্য প্যাকেটজাত ফলের রস খেয়ে থাকেন অনেকে। এ জাতীয় রসেও কিন্তু কৃত্রিম শর্করা থাকে।

Advertisement

২) সকালে খাবেন না

সকালে জলখাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না। খালি পেটে আমের মতো মিষ্টি ফল খেলে তা এক লাফে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জালখাবার খাওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পর বা বিকেলে আম খাওয়া যেতে পারে।

৩) বাদামের সঙ্গে খান

জলখাবার খাওয়ার পর আম খেতে পারেন। তবে সঙ্গে যদি বেশ কয়েকটি বাদাম রাখতে পারেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন