ফুসফুসের জোর বাড়াতে কোন কোন আসন অভ্যাস করতে পারে ছোটরা? ছবি: ফ্রিপিক।
ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর। শ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে। পরিবেশে দূষণ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। রাস্তায় বেরোলে ধুলো-ধোঁয়া, বিষাক্ত গ্যাসের জেরে ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোটরাও। বাড়ছে হাঁপানির টান। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, কাশি, শ্বাস নিতে গেলেই বুকে যন্ত্রণা, রাতে এই সমস্যা উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া— এই হল হাঁপানির মূল উপসর্গ। হাঁপানির টান উঠলে স্বভাবতই কষ্ট বাড়ে। তাই চিকিৎসকেরা বলেন, ফুসফুসের জোর বাড়াতে। সে জন্য কিছু যোগাসন করা খুব জরুরি। ছোটদের কী কী আসন অভ্যাস করানো যাবে, জেনে রাখুন বাবা-মায়েরা।
ভুজঙ্গাসন
প্রথমে উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুতে হবে। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখতে হবে, কনুই থাকবে শরীর ঘেঁষে। এটি শুরুর অবস্থান। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মাথা ও বুক উপরের দিকে তুলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, নাভি যেন মাটি থেকে অন্তত ৩ ইঞ্চি উপরে থাকে। ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থাকতে হবে। তিন সেট করে রোজ এই আসন অভ্যাস করলে ফুসফুসের জোর বাড়বে।
মৎস্যাসন
ম্যাটের উপর সোজা হয়ে শুতে হবে। তার পর হাতে ভর দিয়ে কাঁধ মাটি থেকে উপরে তুলতে হবে। দুই হাত থাকবে পাশে। কাঁধ, পিঠ তুলে রাখতে হবে। মাথা পিছনের দিকে হেলে থাকবে। এতে মাথায় চাপ অনুভব হবে। বুক ও কাঁধ টানটান থাকবে। ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে।
ধনুরাসন
প্রথমে উপুড় হয়ে শুতে হবে। তার পর হাঁটু ভাজ করে প্রথমে বাঁ পা, তার পর ডান পা পিঠের উপর নিয়ে আসতে হবে। এ বার দুই হাত দিয়ে গোড়ালি চেপে ধরতে হবে। শুরুতে গোড়ালি ধরতে সমস্যা হলে পায়ের আঙুল স্পর্শ করতে হবে। এতে কাঁধ পিছনের দিকে থাকবে, বুক সামনের দিকে প্রসারিত হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড করে তিন সেটে করতে হবে এই আসন।