Heat Stroke

ডায়াবেটিকদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি, গ্রীষ্মে সুস্থ থাকতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি?

গ্রীষ্মের মরসুমে ডায়াবিটিকদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ ডায়াবিটিস বশে না রাখলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই ঝুঁকি কমাতে কোন নিয়মগুলি মানবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৯
Share:

ডায়াবিটিস বশে না রাখলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। ছবি: সংগৃহীত।

ডায়াবিটিসের সমস্যা ক্রমশ দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে। এত বেশি হারে এই সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে যে, পরিসংখ্যান বলছে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি ঘরে এক জন ডায়াবিটিস রোগী থাকবেন। চিকিৎসকদের মতে, শীত এবং গ্রীষ্ম, এই দু'টি মরসুমে ডায়াবিটিস রোগীদের বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা জরুরি। শীত পেরিয়ে রাজ্যে গ্রীষ্মকাল প্রবেশ করেছে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে, এই মরসুমে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। কারণ ডায়াবিটিস বশে না রাখলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ছাড়া, গরমে এমনিতে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। ডায়াবিটিস থাকলে এই আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি বাড়তি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।

Advertisement

শরীরচর্চা করুন

ডায়াবিটিসে ভুগছেন এমন অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। গরমে এ বিষয়টিতে আরও বেশি করে জোর দিতে হবে। অন্য সময়ে যদি ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, গ্রীষ্মে চেষ্টা করুন আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়ার। আর খুব ভাল হয় যদি ভোর ৫টায় উঠে ব্যায়াম করেন। উপকার পাবেন।

Advertisement

গ্রীষ্মে ডায়াবিটিস রোগীদের বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা জরুরি। ছবিঃ সংগৃহীত

ফাইবারে ভরা খাবার খান

ডায়াবিটিস রোগীদের রোজের পাতে কী থাকছে, সেটা অত্যন্ত জরুরি। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। গরমে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে এ বিষয়ে। বাইরের খাবার, মিষ্টি, তেলেভাজা, এই ধরনের খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকুন। বদলে ফাইবার আছে এমন খাবার বেশি করে খান। ওটস, ব্রাউন রাইস, গাজর, টম্যাটো রোজের পাতে রাখুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান

ডায়াবিটিস থাকলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে জল খাওয়ার বিকল্প কিছু নেই। বাইরে বেরোলে সঙ্গে জলের বোতল রাখতে ভুলবেন না। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর জল খান। পাশাপাশি, জল আছে এমন ফল খান নিয়ম করে। কোনও ভাবেই শরীরে যেন জলের অভাব না তৈরি হয়।

শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন

সারা বছর অনেকেই প্রতি দিন শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করেন না। গ্রীষ্মে এই ভুল করবেন না। প্রতি দিন সকালে উঠে মনে করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি দেখেন শর্করার মাত্রা বেশি, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখবেন না। নিয়ম মেনে চললেও অনেক সময়ে শর্করার মাত্রা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। তাই রোজ পরীক্ষা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন