রাতভর কাশি ভোগালে তার নিরাময়ের উপায় জেনে নিন। ছবি: এআই।
কালীপুজোর রাতভর শব্দবাজির দাপট দেখা গিয়েছে শহর থেকে শহরতলিতে। বাজির ধোঁয়ায় দূষণের মাত্রাও ছিল বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগেছেন। বিশেষ করে হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীদের এই সময়টাতে শুকনো কাশি, শ্বাসের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। কাশি শুরু হলে তা থামতেই চায় না। রাতভর কাশির দমকে কষ্ট পেতে হয়। এ দিকে কাশির সিরাপ নিয়েও আতঙ্ক কম নয়। কাশির ওষুধ বেশি খাওয়া নাকি বিপজ্জনক। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়াও নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়?
আলোর বাজিই হোক বা শব্দবাজি, কার্বন আর সালফার তাতে লাগবেই। এ ছাড়াও আর যে সব রাসায়ানিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও মারাত্মক। যেমন আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ়, সোডিয়াম অক্সালেট, আয়রন ডাস্ট, অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম অক্সালেট, বেরিয়াম নাইট্রেট, পটাসিয়াম পারকোলেট-সহ আরও অনেক রকম রাসায়নিক থাকে। এই সব রাসায়নিক শ্বাসনালির প্রদাহ আরও বাড়িয়ে দেয়। বিপদের আশঙ্কা থাকে বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) থেকেও। এর থেকে ফুসফুসে সংক্রমণও ঘটে। ফলে হাঁচি-কাশি, শ্বাসের সমস্যা বেড়ে যায়। অ্যালার্জির ধাত থাকলে এই সময়ে কষ্ট আরও বাড়ে।
কাশি কমাতে ঘরোয়া উপায়েই ভরসা রাখুন
তেজপাতার চা
নাক বন্ধ, নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, শুকনো কাশি হতে থাকলে লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এতেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। রাতভর যাঁরা কাশিতে কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরা দিনে বার তিনেক তেজপাতা ফুটিয়ে চা পান করতে পারেন।
মধু-আদার রস
এক চা-চামচ মধু, এক চা-চামচ আদার রস ও এক চিমটে গোলমরিচ খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক বার খেতে হবে।
তুলসী-মধু
তুলসীপাতার রস শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সমস্যা মেটাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তুলসীর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ আছে, যা শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে কয়েকটি তুলসীপাতা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন। না হলে তুলসীপাতার রস বার করে, তার মধ্যে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
আদা-তালমিছরির রস
জলে আদা, তালমিছরি, তুলসীপাতা, বাসক পাতা, যষ্টিমধু, লবঙ্গ একসঙ্গে ভাল করে ফুটিয়ে রস তৈরি করতে পারেন। দিনে দু’-তিন বার এই মিশ্রণ পান করলে কাশি সেরে যাবে অল্প দিনেই।