Excessive Mobile Usage

সারা ক্ষণ ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘাঁটতে বারণ করছেন স্বয়ং আবিষ্কারক, কী বিপদ হতে পারে?

মোবাইল যিনি আবিষ্কার করেছেন, তিনিই সেই যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন। ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস শরীরে কী কী কুপ্রভাব ফেলতে পারে, তা জানেন কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১২:৪০
Share:

স্রষ্টাই মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন বার বার। ছবি: সংগৃহীত।

সত্তরের দশকে ‘মটোরেলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোনটি দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজ সেই যন্ত্র বদলে দিয়েছে গোটা দুনিয়াকেই। আর সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপার দিনে খুব অল্প সময় ফোন ব্যবহার করেন। প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ স্রষ্টাই মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন বার বার। কুপারের মতে, ‘‘জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।’’

Advertisement

মোবাইল ফোন এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কারণে হোক কিংবা অকারণে, দু’চোখ সব সময়েই মোবাইলের পর্দায় আটকে রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে মার্টিন বলেছেন, ‘‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন।’’

মোবাইল ফোন এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।

শুধু পথঘাটে নয়, ট্রেনে, বাসে এমনকি, ঘরোয়া আড্ডায় সবর্ত্রই ঘাড় গুঁজে মোবাইল ঘেঁটে চলেছেন অনেকে। এমন দৃশ্য নতুন নয়। এটাই এখন যেন জীবনচর্চায় পরিণত হয়েছে। আর তার হাত ধরেই নানা ধরনের অসুখ হানা দিচ্ছে জীবনে। চিকিৎসা বিজ্ঞান যে রোগের নাম দিয়েছে ‘টেক্সট নেক’।

Advertisement

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৮ শতাংশ মানুষ এই অসুখের শিকার। ৩৫ শতাংশ এই অসুখের কথা জেনেও সচেতন নন। আর প্রায় ২১ শতাংশ একেবারে অসুখের দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছেন।

এই অসুখে মেরুদণ্ড চিরতরে বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তা-ই নয়, ঘাড় এবং গলার হাড় ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তা চিরতরে ঝুঁকিয়ে দিতেও পারে। শরীর কত ডিগ্রি সামনের দিকে ঝুঁকে আছে, তার উপর নির্ভর করবে ঘাড় ও গলা কতটা ওজন বইবে। মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটার সময়ে ঘাড় মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি ঝুঁকে থাকে। এতে চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের উপর। দীর্ঘ দিন ধরে এমন চলতে থাকলে এক সময়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যায় মেরুদণ্ড। ঘাড় বেঁকে যাওয়া, গলা এবং ঘাড় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া— এমন মারাত্মক কিছু পরিণতি হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অসুখ সারাতে হলে একটাই উপায়, তা হল মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানা। না হলেই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এ অসুখ থাবা বসাবে যে কোনও সময়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন